আ.লীগ নেতা গ্রেফতারের জের
পুলিশ চেকপোস্টে হামলার পর এবার জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি
সিলেট ব্যুরো
প্রকাশ: ০৬ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৫০ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে সাদাপাথর চুরির মামলায় আব্দুল ওয়াদুদ আলফু গ্রেফতারের পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। গ্রেফতারের একদিন পরই পুলিশের ওপর শ্রমিকদের হামলার ঘটনা ঘটে।
এরপর জ্বালিয়ে দেওয়ার প্রকাশ্য হুমকি দিয়েছেন আলফুর অনুসারী এক শ্রমিক নেতা। আলফু তিন খুনসহ ১৭ মামলার আসামি। এছাড়াও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং ৩নং তেলিখাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি রতন শেখ বলেন, আলফুর বিরুদ্ধে তিনটি হত্যা মামলাসহ ১৭টি মামলা রয়েছে।
পুলিশ জানায়, সাদাপাথর পর্যটন এলাকা থেকে পাথর চুরির মামলার অন্যতম আসামি আলফু চেয়ারম্যান। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্ত প্রতিবেদনেও তার নামও রয়েছে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কোম্পানীগঞ্জ, দক্ষিণ সুরমা ও আশপাশের এলাকায় পাথর ও বালুর অবৈধ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে আসছিলেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, আলফু চেয়ারম্যান নিজের প্রভাব কাজে লাগিয়ে প্রশাসন ও রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের সঙ্গে আঁতাত করে লুটপাটের সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন।
এরই মধ্যে গত রোববার সিলেট-ভোলাগঞ্জ সড়কে পুলিশের নিয়মিত চেকপোস্টে হামলা চালায় আলফুর অনুসারীরা। ট্রাফিক সার্জেন্টসহ পাঁচ পুলিশ সদস্যকে মারধর করে জখম করে ট্রাক ও বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এবং উপজেলা শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে একদল শ্রমিক।
পুলিশ জানায়, যথাযথ কাগজপত্র না থাকায় একটি বালুবাহী ট্রাক আটক করলে মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে শ্রমিকরা সেখানে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন এবং পরে হামলা চালিয়ে আটক ট্রাকটি জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেন। এ ঘটনায় ১৫ জনের নামোল্লেখসহ ৭০-৮০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
এদিকে ঘটনার পরপরই সাংবাদিকদের সামনে মাহফুজুর রহমান আগুন জ্বালানোর হুমকি দেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাহফুজুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে বালু ও পাথর লুটপাটের সঙ্গে জড়িত এবং তিনি আলফু চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে পরিচিত। ধলাই ব্রিজসংলগ্ন এলাকায় অবৈধ বালু উত্তোলনের অন্যতম নিয়ন্ত্রক তিনি।
সিলেট জেলা পুলিশ সুপার শাহজালাল মিয়া বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর হামলা একটি গুরুতর অপরাধ। আমরা ঘটনার তদন্ত করছি, কারা এর সঙ্গে জড়িত তা শনাক্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
