|
ফলো করুন |
|
|---|---|
রংপুরে ভেজাল গুড় কারখানায় অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেখানে উদ্ধারকৃত ২৪ মেট্রিক টন গুড় ও তিন মেট্রিক টন পচা মিষ্টি ধ্বংস করা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত শ্রমিকরা জানিয়েছেন- তারা এ কারখানার গুড় কখনই খান না।
এ সময় মালিককে ২ লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ের তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। ধ্বংস করা ভেজাল গুড় ও পচা মিষ্টির বর্তমান বাজার দর অনুমান ৫৪ লাখ টাকার উপরে হবে বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে নগরীর দর্শনা সূত্রাপুর এলাকার ‘বাবা মায়ের দোয়া গুড় কারখানায়’ এ অভিযান চালান জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম, বিভাগীয় পরিবেশ অধিদপ্তরের গবেষণা কর্মকর্তা রুনায়েত আমিন রেজা, জেলা স্বাস্থ্য স্যানিটারি অফিসার মাহবুবার রহমান, জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা লোকমান হোসেন। তাদের সহযোগিতা করে মেট্রোপলিটন পুলিশ।
অভিযানের সময় ৬০ কেজি ওজনের ৪০৯টি টিন ভর্তি ২৪ হাজার ৫৪০ কেজি ভেজাল গুড় এবং ৭০ কেজি ওজনের ৪০ টি ড্রামে ২ হাজার ৮০০ কেজি পচা মিষ্টি এবং বিপুল পরিমাণ ক্ষতিকারক রাসায়নিক, পচা চিটাগুড়, কারখানায় ব্যবহৃত রং এবং ভেজাল চিনিসহ দিয়ে হাতেনাতে গুড় উৎপাদন কার্যক্রম ধরে ফেলেন। পরে কারখানাটি সিলগালা করে মালামালগুলো ধ্বংস করে দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
কারখানার মালিক নুর মোহাম্মদ ২ লাখ টাকা জরিমানা প্রদান করে জেলের দণ্ড থেকে মুক্তি পান।
কারখানার মালিক নুর মোহাম্মদ জানান, তিনি ৮ মাস থেকে সেখানে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরির চেষ্টা করছেন। সারা দেশেই ভেজাল চলছে। আমিও একটু ভেজাল দিয়েছি। পচা মিষ্টি, ভেজাল চিনি এবং কেমিক্যাল ও ফ্লেভার দিয়ে গুড় তৈরি করে বাজারজাত করছি।
কারাখানার কর্মচারী আরিফ জানান, যেহেতু এখানে পচা মালামাল দিয়ে গুড় বানানো হয়। সেহেতু কারখানার কোনো শ্রমিক আমরা কখনই এই গুড় খাই না।
