ক্ষমতায় কে বসবে সেই ভাবনায় কাজ করছেন অনেকে: ডিআইজি পলাশ
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০০ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ
আহসান হাবিব পলাশ।
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবিব পলাশ বলেছেন, ক্ষমতায় কে বসবে, সেই ভাবনায় কাজের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মধ্যে। এটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে। শনিবার নগরীর লোকপ্রশাসন কেন্দ্রে নির্বাচন নিয়ে আয়োজিত এক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন। চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কার্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত এই সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
ডিআইজি পলাশ বলেন, এটা মানুষ আমাদের কাছে প্রত্যাশা করে না। মানুষ চায়, আমরা কোনো দলের নই, কোনো মতের নই, কোনো আদর্শের নই। আমরা দলদাস না, আমরা হচ্ছি জনদাস। আমরা জনদাস হয়ে দায়িত্ব পালন করতে চাই। এসব ক্ষেত্রে দলপতি যেদিকে যান, পেছনের লোকেরাও সেদিকে যান।
এসব ‘দলদাসকে’ আলাদা করে নির্বাচনি দায়িত্ব পালন থেকে দূরে রাখা যায় কি না, তা বিবেচনা করতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের প্রতি অনুরোধ জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের সময় এবং নির্বাচনের পর নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী যারা আছেন, তাদের সব অপকর্ম কঠোর হাতে দমন করতে হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে উদ্দেশ করে পলাশ বলেন, এক্ষেত্রে আপনাদের কঠোরতা আমাদের দায়িত্বশীল করবে। নির্বাচনের সময় কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া যাবে না। রাজনৈতিক দলগুলো যে নীতিমালার মধ্যে নির্বাচনি কাজ করার কথা, তার যদি কোনো রকম ব্যত্যয় ঘটে, সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমাদের যদি কেউ কোনো অপকর্ম করেন, সঙ্গে সঙ্গে আমরা ব্যবস্থা নেব।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে প্রত্যাশিত সহযোগিতা মিলছে না উল্লেখ করে এই ডিআইজি আরও বলেন, আইন প্রয়োগের অন্যতম শর্ত হচ্ছে অধিকাংশ মানুষ আইন মেনে চলবে। কিছুসংখ্যক মানুষ আইন মেনে চলবে না। তাদের জন্য আমরা আইন প্রয়োগের চেষ্টা করে থাকি। কিন্তু বর্তমান সময়ে রাজনৈতিক দলগুলোর যেরকম অংশগ্রহণ দরকার, সেই পর্যায়ের সহযোগিতা আমরা পাচ্ছি না। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে একতার অভাব, অন্তঃকলহের কারণে পালটাপালটি কর্মসূচি, ভয়ভীতি প্রদর্শন, হুমকি, দাঙ্গা, এমনকি হত্যার মতো ঘটনা ঘটছে। এ অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় পুলিশের পক্ষে তা সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়ছে।
