সুনামগঞ্জ-৩ আসন কে হচ্ছেন বিএনপির প্রার্থী
সানোয়ার হাসান সুনু, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ)
প্রকাশ: ১২ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:১৪ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ ৩ (জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ) আসনে কে হচ্ছেন বিএনপির প্রার্থী- এই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে ভোটারদের মধ্যে।
এ আসনে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠজন হিসাবে পরিচিত যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কয়ছর এম আহমদ দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার ব্যাপারে দৃঢ়ভাবে আশাবাদ ব্যক্ত করে যুগান্তরকে বলেন, নীতি নির্ধারণী মহলের গ্রিন সিগন্যাল পেয়েই নির্বাচনি এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছি। জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জের মানুষের জন্য আমি কাজ করতে চাই। তিনি প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন জায়গায় সভা-সমাবেশ করছেন। দলের নেতাকর্মী দের নিয়ে একাধিক কর্মিসভা করছেন।
তিনি বলেন, মনোনয়ন পেলে জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ উপজেলাবাসীর সমর্থন আমি পাব ইনশাআল্লাহ। মহান আল্লাহ পাকের অশেষ রহমতে বিএনপি যদি সরকারে আসে তবে জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জে সুষম উন্নয়ন হবে। আমরা কোনো বৈষম্য করব না।
এদিকে দলের মনোনয়ন পেতে জোর লবিং করছেন মুক্তিযোদ্ধা দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ মালেক খান। তিনি জানান, আমি কেন্দ্রের গ্রিন সিগন্যাল পেয়ে আমার নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছি।
তিনি জানান, ২০০৫ সালে উপনির্বাচনে এ আসনে আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল, পরে জোটের কারণে মাওলানা শাহিনূর পাশাকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত আমি মেনে নিই। দল এবার আমাকে মনোনয়ন দেবে বলে আমি খুবই আশাবাদী।
বিএনপির মনোনয়ন পেতে জোর লবিং করছেন একাধিক প্রবাসী নেতা। অনেকেই দলের মনোনয়ন পেতে কেন্দ্রীয় বিভিন্ন নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। আগামী নির্বাচনে এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেতে আরও যারা নানাভাবে লবিং করছেন তারা হলেন- মেজর (অব.) আসফাক শামী, যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ-সভাপতি এমএ সাত্তার, যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার আনোয়ার হোসেন, যুক্তরাজ্যের সুইডেন বিএনপির সাবেক সভাপতি এমএ কাহার।
এদিকে জমিয়ত নেতা সৈয়দ তালহা আলম ও ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে জোটবদ্ধ নির্বাচনের ব্যাপারে আশাবাদী বলে জানিয়েছেন। তিনিও গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে খুব সহসাই এ আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে বলে বিএনপির নীতি নির্ধারণী মহল সূত্রে জানা গেছে।
