Logo
Logo
×

সারাদেশ

মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে তোড়জোড়, অথচ পদ্মা পাড়েই বসছে ইলিশের হাট

Icon

ভেদরগঞ্জ (শরীয়তপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ০১:২০ পিএম

মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে তোড়জোড়, অথচ পদ্মা পাড়েই বসছে ইলিশের হাট

ছবি: যুগান্তর

মা ইলিশ রক্ষায় সরকার ঘোষিত নিষেধাজ্ঞা ও প্রশাসনের অভিযান চললেও শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলায় প্রকাশ্যেই চলছে মা ইলিশের বেচাকেনা। পদ্মার দুই পাড়ে গড়ে উঠেছে একাধিক অস্থায়ী মাছের আড়ত। সেখানে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার মা ইলিশ কেনাবেচা হচ্ছে। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে সরকারের ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রম।

সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলার উত্তর তারাবুনিয়ার ছুরিরচর বেপারী বাজারের দক্ষিণ পাশে নদীর পাড়ে উত্তর তারাবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক লাল মিয়া বেপারীর নেতৃত্বে ১০-১২ জন ব্যবসায়ী মিলে একটি অস্থায়ী মাছের আড়ত গড়ে তুলেছেন। দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা চলছে মা ইলিশের কেনাবেচা। একইভাবে দুলারচর ভাঙা স্কুল এলাকা, উত্তর তারাবুনিয়ার মোল্যার বাজার ঘাট এবং মনাই হাওলাদারের বাজারের সাবেক লঞ্চঘাট এলাকাতেও গড়ে উঠেছে একাধিক অস্থায়ী আড়ত। কাচিকাটার বিভিন্ন পয়েন্টেও বসেছে ছোট-বড় আরও কয়েকটি মাছের হাট।  

জানা যায়, এসব আড়তে প্রতিদিন লক্ষাধিক টাকার মা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। জেলেরা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে রাতে নদীতে জাল ফেলছে। অভিযানের খবর পেলে তারা দ্রুত পাড়ে উঠে যায়, আবার পরিস্থিতি অনুকূলে আসলেই মাছ তুলে এনে এসব অস্থায়ী আড়তে বিক্রি করছে।

ব্যবসায়ী লালমিয়া বেপারী বলেন, আশা ছিল মা ইলিশের মৌসুমে ভালো ব্যবসা হবে। কিন্তু নদীতে আশানুরূপ মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। এখানে যারা ব্যবসা করে, সবার অবস্থাই খারাপ।

আরেক ব্যবসায়ী সুমন প্রধানীয়া বলেন, নদীতে মাছ নেই, জেলেরা নদীতে যেতে পারছে না। ব্যবসা করে লোকসান গুনছি।

জেলে আল আমিন ও আনিসুর বলেন, ২২ দিন কাজ না করে বসে থাকলে সংসার চলে না। সরকার যে ২০ কেজি চাল দেয়, তাতে পরিবার টিকে না। তাই ঝুঁকি নিয়েই নদীতে জাল ফেলি। 

এ বিষয়ে সখিপুর থানা বিএনপির সভাপতি ও কাচিকাটা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ সরদার বলেন, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। কেউ যদি অবৈধ কাজে জড়িত থাকে, সেটা ব্যক্তিগত বিষয়। বিএনপি তার দায় নেবে না। আমরা চাই প্রশাসন অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিক।

ভেদরগঞ্জ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল ইমরান বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করছি, জাল জব্দ করছি। আপনি যে আড়তের কথা বলেছেন, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম