Logo
Logo
×

সারাদেশ

শিশুর হাতের সেই আগ্নেয়াস্ত্র কবরস্থান থেকে উদ্ধার

Icon

সোনাগাজী (ফেনী) দক্ষিণ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৪৬ পিএম

শিশুর হাতের সেই আগ্নেয়াস্ত্র কবরস্থান থেকে উদ্ধার

ফেনীর সোনাগাজীতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সেই আগ্নেয়াস্ত্রসহ দুটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছেন যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। রোববার রাত আড়াইটার দিকে বগাদানা ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের মমতাজ কেরানি বাড়ির কবরস্থান থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় অস্ত্রগুলো উদ্ধার করা হয়।

জিডিমূলে পুলিশ অস্ত্রগুলো জব্দ করে থানা হেফাজতে রেখেছে।

পুলিশ জানায়, সোনগাজী উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের চরবদরপুর গ্রামের হোসেন মাঝি বাড়ির সুজনের শিশু সন্তানের হাতে বন্দুকের একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ পায়।

জানা গেছে, শিশুটির সৌদি প্রবাসী মামা আসাদুর জামান নুর তার নিজ নামীয় ফেসবুক আইডিতে বন্দুক হাতে ভাগিনার ছবি পোস্ট করেন। তিনি ক্যাপশনে লিখেন- ‘এটা আমার বড় ভাগিনা, ওর হাতে থাকত এ বয়সে খেলনার পিস্তল থাকার কথা, আর অথচ ওর হাতে এখন অরজিনিয়াল পিস্তল।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বন্দুক হাতে শিশুর ছবিটি প্রকাশ হলে মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। প্রশাসনসহ সর্বমহলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। সেনাবাহিনী ও পুলিশের একাধিক টিম অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান শুরু করে।

অবশেষে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনা ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়ে কবরস্থান থেকে অস্ত্রগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের মুখে অস্ত্রগুলো কবর স্থানে রেখে গেছে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা।

ঘটনা জানতে শিশুর পিতার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ‘বন্দুক হাতে শিশু আমার সন্তান। আমার সন্তান তার নানার বাড়ি থাকতে কে বা কারা তার হাতে বন্দুক দিয়ে ছবি ধারণ করলেও সেটি জানা ছিল না। তার মামা পোস্ট করার পর বিষয়টি জানতে পারি। আমার শ্যালকের কাছে ফোন করলেও সে সাড়া দেয়নি।’

তিনি ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমার সন্তানের হাতে বন্দুক তুলে দিয়ে সেটি ফেসবুকে প্রচার করে তার স্বাভাবিক জীবন হুমকির মধ্যে ফেলেছে।

শিশুটির পিতা আরও বলেন, আমার শ্যালকের মাথায় সমস্যা রয়েছে। দেশে থাকতে অনেক পাগলামি করত, প্রবাসে গিয়েও পাগলামি বন্ধ হয়নি।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে আসাদুর জামান নুরের ম্যাসেঞ্জারে কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সাইফুল ইসলাম অস্ত্রগুলো উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম