দুই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা, ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড
কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৩৪ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কক্সবাজারের রামু উপজেলায় মুক্তিপণের দাবিতে সহোদর দুই শিশুকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং তিন নারীসহ চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলার আরেকজন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে কক্সবাজার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল–২ এর বিচারক মো. ওসমান গণি এ রায় ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মীর মোশারফ হোসেন টিটু।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— রামুর গর্জনিয়া ইউনিয়নের বড়বিল এলাকার জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুর শুক্কুর, আলমগীর হোসেন ওরফে বুলু, মিজানুর রহমান এবং মো. শহীদুল্লাহ।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন—একই এলাকার আবদুল মজিদ বদাইয়া, ফাতেমা খাতুন, রাশেদা বেগম ও লায়লা বেগম।
হত্যার শিকার দুই শিশু মো. হাসান ওরফে শাকিল (১১) এবং মো. হোসেন ওরফে কাজল (৮); তারা দোকান কর্মচারী মো. ফোরকান ওরফে মিন্টুর সন্তান।
রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, ২০১৬ সালের ১৭ জানুয়ারি বিকালে গর্জনিয়া বড়বিল এলাকায় খেলার সময় পাখির ছানা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শিশু দুজনকে অপহরণ করে আসামিরা। পরে ফোনে পরিবারের কাছে চার লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। দুই দিন পর ১৯ জানুয়ারি শিশুদের বাবা ফোরকান গর্জনিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন।
পুলিশের তদন্তে দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হলে, তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী স্থানীয় পাহাড়ি জঙ্গলে গুমের উদ্দেশ্যে লুকিয়ে রাখা শিশুদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ২০১৬ সালের ৭ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট জমা দেন এবং ২০১৯ সালের ২০ মার্চ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন।
দীর্ঘ নয় বছর ধরে বিচারিক কার্যক্রম শেষে সাক্ষ্য–প্রমাণ ও পারিপার্শ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আদালত আসামিদের দোষী সাব্যস্ত করেন। আদালত পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেন এবং তাদের বিভিন্ন অঙ্কের জরিমানাও করেন।
রায় ঘোষণার সময় প্রধান আসামি জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন, বাকিরা পলাতক।
নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় মোকারমা সুলতানা পুতু নামের এক তরুণীকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
