মালয়েশিয়া পাচারকালে নারী-শিশুসহ ২৯ জন উদ্ধার, আটক ৩
টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৫৭ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কক্সবাজারের টেকনাফে মেরিন ড্রাইভের সমুদ্র সৈকত ব্যবহার করে সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারকালে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ২৯ জনকে উদ্ধার করেছে বিজিবি। এ সময় ৩ জন মানবপাচারকারীকে আটক করা হয়েছে।
আটকরা হলেন- টেকনাফ মহেশখালীয়পাড়ার মৃত মোজাহার মিয়ার ছেলে মো. সেলিম (৩৫), মুজিবুর রহমানের ছেলে মো. নুরুল আবছার (১৯) এবং কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের করিমুল্লাহ ছেলে মনসুর আলম (২২)।
টেকনাফ ব্যাটালিয়ন ২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মানবপাচার ও অপহরণকারী চক্র পাহাড় এবং সমুদ্র সৈকত ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যক্তিকে জিম্মি করে সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচার করছে। এসব গ্রুপের বিরুদ্ধে পাহাড় ও সাগরে বিজিবির কঠোর অভিযান জোরদারের ফলে মানবপাচার ও সংঘবদ্ধ অপরাধ দমনে বিজিবির সফলতা এসেছে।
গত মঙ্গলবারে দুর্গম পাহাড়ে পাচারকারী চক্রের আস্তানা গুঁড়িয়ে দিয়ে জিম্মি উদ্ধারের পর, খবর আসে বুধবার (২২ অক্টোবর) মধ্যরাতে মেরিন ড্রাইভ সৈকত এলাকা দিয়ে গভীর সাগরে পাচারের মুহূর্তে নারী-পুরুষ ও শিশুসহ ২৯ জন নিরীহ ভুক্তভোগীকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে এবং ৩ জন মানবপাচারকারী আটকের পরে তাদের কাছ থেকে ১টি চাকু, ১টি মোটরসাইকেল ও ১টি ইঞ্জিনচালিত সাম্পান নৌকা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
তিনি আরও জানান, পাহাড়ের দুর্গম চূড়া থেকে জিম্মি উদ্ধার এবং সমুদ্র উপকূলে মানবপাচার বানচাল করেছি। সর্বশেষ দুইটি সফল মানবপাচারবিরোধী অভিযানের মাধ্যমে বিজিবি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে যে, টেকনাফ সীমান্তের পাহাড় থেকে সমুদ্রের জলসীমা পর্যন্ত কোনো অপরাধীর জন্য এক ইঞ্চি জায়গাও নিরাপদ নয়। মানবতাবিরোধী এমন জঘন্য অপরাধ আমরা কোনোভাবেই বরদাশত করব না। ধারাবাহিক নজরদারি এবং অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উদ্ধার ২৯ জন ভুক্তভোগীকে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া শেষে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আটক ৩ জন মানবপাচারকারীর বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে মামলা করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। বিজিবি দেশের প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা এবং সীমান্ত স্থিতিশীলতা নিশ্চিতকরণে সদা বদ্ধপরিকর।
