প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্রেণিকক্ষে শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ
নড়াইল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৬:৪৫ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নড়াইল সদর উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এক কোমলমতি পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশু শিক্ষার্থীর পরিবার অভিযুক্ত শিক্ষক মো. তরিকুল ইসলামকে একমাত্র আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে নড়াইল সদর থানা পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
শিক্ষক মো. তরিকুল ইসলামের বাড়ি নড়াইল সদর উপজেলার মাইজপাড়া ইউনিয়নের বোড়ামারা গ্রামে।
প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, গত ১৫ অক্টোবর বিকালে বিদ্যালয় ছুটির পর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তরিকুল ইসলাম চারজন শিক্ষার্থীকে নিয়ে শ্রেণিকক্ষে প্রাইভেট পড়াচ্ছিলেন। একপর্যায়ে এক ছাত্রী তার মায়ের ডাকে ওই কক্ষের বাইরে গেলে শিক্ষক অন্য দুই ছাত্রকে তখন জাতীয় পতাকা খুলতে পাঠান। এরপর সুযোগ বুঝে একা থাকা কোমলমতি ছাত্রীটিকে রুমে আটকে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। শিক্ষার্থীর চিৎকারে অন্য সহপাঠীরা ছুটে এসে দরজা খুলে ফেললে তরিকুল ইসলাম তড়িঘড়ি করে মেয়েটিকে ছেড়ে দেন। পরে তিনি শিক্ষার্থীদের কাউকে কিছু না বলার জন্য অনুরোধ করেন।
বিষয়টি পরিবার ভয়ে ও সামাজিক সম্মানের আশঙ্কায় তিন দিন চুপ ছিলেন। তবে তিন দিন পর ঘটনাটি পরিবারের অন্য সদস্যরা জানতে পারেন। পরবর্তীতে অভিযুক্ত শিক্ষক স্থানীয়ভাবে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। শেষপর্যন্ত শিশু মেয়েটির পরিবার ২১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) রাতে নড়াইল সদর থানায় ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক মো. তরিকুল ইসলাম ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন।
জানা গেছে, তিনি ১৬ অক্টোবর থেকে সাত দিনের ছুটি নিয়ে বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। অভিযুক্ত তরিকুল ইসলাম ২০১১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর নড়াইল সদর উপজেলার মাইচপাড়া ইউনিয়নের মাগুরা কালুখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। চলতি বছরের আগস্ট থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ঘটনা জানাজানি হতেই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। ভুক্তভোগী ছাত্রীর সহপাঠীরা গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে ঘটনার পুরো বিবরণ তুলে ধরে অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে। এরই অংশ হিসেবে আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এই মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ তোলা হয়েছে।
নড়াইল সদর থানার ওসি মো. সাজেদুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। আসামি গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
