Logo
Logo
×

সারাদেশ

হিমাগারের সিন্দুক ভেঙে ১৩ লাখ টাকা ডাকাতি

Icon

রংপুর ব্যুরো

প্রকাশ: ২৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৫৩ পিএম

হিমাগারের সিন্দুক ভেঙে ১৩ লাখ টাকা ডাকাতি

রংপুরের তারাগঞ্জে এনএন হিমাগারে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় পুলিশ এ পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটির তদন্ত শুরু হয়েছে বলে তারাগঞ্জ থানা পুলিশ জানিয়েছে।

হিমাগারের ম্যানেজার শরিফুল ইসলামের থানায় দায়েরকৃত মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে উপজেলার ইকরচালি ইউনিয়নে এনএন হিমাগারে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতির সময় সশস্ত্র ডাকাত দল নৈশপ্রহরী সোহেল রানা, মেশিন অপারেটর মঞ্জুরুল ইসলাম ও সুজন বাবুকে অস্ত্রের মুখে বেঁধে রেখে ডাকাতি করে। এ সময় ডাকাতেরা সিন্দুক ভেঙে ১২ লাখ ৫৪ হাজার ৯২০ টাকা, ৪২ ইঞ্চি রঙিন টেলিভিশন, সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক নিয়ে যায়। সশস্ত্র ডাকাতরা তাদের অফিসের দরজার তালা কেটে ভেতরে প্রবেশ করে বলে তারা জানান।

হিমাগারের মেশিন অপারেটর মঞ্জরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ডাকাতরা হিমাগারের পেছনের দিক দিয়ে প্রাচীর পেরিয়ে ঘরের দরজার তালা কেটে ভেতরে প্রবেশ করে মেশিন রুমে এসে আমাদের দুজনকে অস্ত্রের মুখে বেঁধে ফেলে। এরপর আমাকে নিয়ে অফিসের দিকে যায় তারা। এ সময় ডাকাতদের চেহারা দেখার চেষ্টা করলে তাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এরপরই নৈশপ্রহরী সোহেল রানাকে বেঁধে ফেলে। তালা কেটে তাদের দুজনকে অফিস কক্ষে নিয়ে আসে এবং মেশিন রুম থেকে সিন্দুক ভাঙার জন্য শাবল নিয়ে আসে ডাকাতরা। সেখানে থাকা সিন্দুক ভেঙে টাকা, টিভি, সিসিটিভির মেশিন নিয়ে চলে যায়। তাদের সবার মুখ মানকি টুপি দিয়ে ঢাকা ছিল। যে কারণে চেহারা চেনা যায়নি।

এনএন হিমাগারের ম্যানেজার শরিফুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে হিমাগার থেকে ফোন করে তাকে জানানো হয় হিমাগারে ডাকাতি হয়েছে। বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে জানাই। সেই সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে ডাকাতির ঘটনা প্রত্যক্ষ করি। পরে ঘটনাস্থলে ওসি-পুলিশসহ এসে ডাকাতির ঘটনার আলামত সংগ্রহ করেন।

ডাকাতির ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তারাগঞ্জ থানার ওসি এমএ ফারুক বলেন, ঘটনার রাতেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি জানার চেষ্টা করি। মামলা হয়েছে ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে তিনি এটিকে ডাকাতি না বলে ‘দস্যুতা’ বলে অবহিত করেছেন। এ নিয়ে থানায় মামলা হয়েছে, মামলায় কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি। তাই এটি একটি ক্লুলেস মামলার ঘটনা। আমরা তদন্ত শুরু করেছি। কেউ এখনো গ্রেফতার হয়নি।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম