Logo
Logo
×

সারাদেশ

খালে বাধ দিয়ে যুবদলের সাবেক নেতার মাছ চাষ

Icon

জাহিদ রিপন, ফরিদপুর

প্রকাশ: ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:৫৩ পিএম

খালে বাধ দিয়ে যুবদলের সাবেক নেতার মাছ চাষ

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে সরকারি খালে বাধ দিয়ে মাছ চাষের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা যুবদলের সাবেক সহসভাপতি সৈয়দ টুটুল হোসেনের বিরুদ্ধে। 

প্রভাবশালী এই যুবদল নেতা খালের প্রায় এক কিলোমিটার অংশ দখল করে রাখায় পার্শ্ববর্তী ফসলের জমি জলমগ্ন হয়ে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ছে কৃষকরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার সাতৈর ইউনিয়নের বালিয়াপাড়া গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত বালিয়াপাড়া খাল। যা বারাসিয়া নদী থেকে এ খাল দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়। বালিয়াপাড়া স্লুইসগেট সংলগ্ন এলাকা থেকে বালিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত খালটির প্রায় এক কিলোমিটার অংশ সৈয়দ টুটুল হোসেনের নেতৃত্বে ৪ থেকে ৫ জন খালে আড়াআড়ি বাঁশের বেড়া (কাঠা-বাধ) দিয়ে আটকে মাছ চাষ করছেন। একই সঙ্গে খালে মাছ চাষের সুবিদার জন্য স্লুইসগেট বন্ধ করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

বাধ ও স্লুইসগেট বন্ধের কারণে পার্শ্ববর্তী বিস্তীর্ণ ফসলের জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় কৃষকের পাকা ধান পচে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। কৃষকদের দাবি স্লুইসগেট খোলা থাকলে মাঠের পানি সরে যেত এবং ফসলের ক্ষতি হত না।

নাম প্রকাশ না করে স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, টুটুল হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে ওই বাধ দেওয়া জায়গা থেকে কেউ মাছ মারলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। এর ফলে খালটির দখলকৃত অংশের দুই পাড়ের মানুষ খালটি কোনো কাজেই ব্যবহার করতে পারছেন না।

বালিয়াপাড়া গ্রামের পরশউল্লাহ বলেন, টুটুলের নেতৃত্বে স্থানীয় ৫ থেকে ৬ জন মিলে এই খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছেন। মাসখানেক আগে থেকে তারা এই মাছ চাষ করছেন। প্রতি বছর খালের দুই পাড়ের বাসিন্দারা খাল থেকে মাছ ধরতে পারতেন, এবার আর মাছ ধরা সম্ভব নয়। 

মোক্তার খালাসী নামে একজন বলেন, আমি ক্ষেতে ধান লাগিয়েছিলাম। মাছ চাষের জন্য ওরা (টুটুল) পাশের স্লুইসগেট বন্ধ করে রাখায় ফসলের ক্ষেতে পানি জমে গেছে। আমার পাকা ধান পচে নষ্ট হয়ে গেছে। স্লুইসগেট খোলা রাখলে পার্শ্ববর্তী ফসলের ক্ষেতের পানি খাল দিয়ে নেমে যেত।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সৈয়দ টুটুল হোসেনের বক্তব্য জানতে তার মোবাইলে কল করা হলে তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি। 

এ বিষয়ে বোয়ালমারী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মীর লিয়াকত আলী বলেন, বিষয়টি জানার পরে সরেজমিনে গিয়ে তাদের বাঁধ অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি বাঁধ অপসারণ না করে তাহলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হাসান চৌধুরী বলেন, অচিরেই উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দিয়ে মূল ঘটনা যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম