২১ গ্রামের বাসিন্দাদের জন্য সেতু করে দিলেন কায়সার কামাল
কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৩২ পিএম
২১ গ্রামের বাসিন্দাদের জন্য সেতু করে দিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার ধেনকী নদীর ওপর ১৬৫ ফুট দীর্ঘ ও ৭ ফুট প্রশস্ত কাঠের সেতু নির্মাণ করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।
সোমবার দুপুরে উপজেলার রানীগাঁও এলাকায় স্থানীয়দের অংশগ্রহণে সেতুটির উদ্বোধন করেন শিক্ষার্থীরা। এই সেতু নির্মাণের ফলে লেংগুরা, খারনৈ ও নাজিরপুর ইউনিয়নের ২১টি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগের অবসান ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খারনৈ ইউনিয়নের গণেশ্বরী নদী (স্থানীয়ভাবে ধেনকী নদী) পার হয়ে দুইটি উচ্চ বিদ্যালয়, চারটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি খ্রিস্টান মিশনারি স্কুল ও দুইটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের যাতায়াত করতে হয়। এছাড়া চারটি মসজিদের মুসল্লি ও একটি মন্দিরের ভক্তসহ ২১টি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ প্রতিদিন এই নদী দিয়ে পারাপার করতে হয়। গত ছয়মাস আগে স্থানীয়রা স্বেচ্ছাশ্রমে এখানে একটি অস্থায়ী সেতু তৈরি করেন।
বর্তমানে পুরনো এই কাঠের সাঁকোটি ভেঙে পড়ায় গ্রামবাসী ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছিলেন। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে যাতায়াত ছিল অত্যন্ত কষ্টকর ও বিপদজনক। সম্প্রতি এলাকাবাসীর এ বিষয়টি ব্যারিস্টার কায়সার কামালকে জানালে তিনি উদ্যোগ নেন নতুন কাঠের সেতু নির্মাণের।
নলছাপ্রা গ্রামের লিটন হাজং বলেন, আগে সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে সবসময় ভয় লাগত- সাঁকো পার হতে গিয়ে দুর্ঘটনা না ঘটে। এখন সেই ভয় কেটে গেছে। আমরা কৃতজ্ঞ কায়সার কামাল ভাইয়ের প্রতি।
নলছাপ্রা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কপোতী ঘাগ্রা বলেন, সেতু নির্মাণের ফলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দুর্ভোগ কমেছে। এখন আর বৃষ্টির সময় নদী পারাপারে কোনো ঝুঁকি নেই।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, আমরা কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী। সীমিত সাধ্যের মধ্যে আমরা মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরও জানান, গাড়ো পাহাড়-বেষ্টিত খারনৈ ইউনিয়নের গণেশ্বরী নদীর (স্থানীয়ভাবে ধেনকী নদী) ওপর সেতুটি নির্মিত হওয়ায় ২১টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ, বিভিন্ন বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে সহায়ক হবে। এছাড়া স্থানীয় মসজিদে মুসল্লিরা, মন্দির ও গির্জায় ভক্তরা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। সুন্দর কলমাকান্দা গড়তে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করব ইনশাল্লাহ।
