শ্রেণিকক্ষে শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টা, অভিযুক্ত সেই শিক্ষক বরখাস্ত
নড়াইল প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৪৭ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নড়াইল সদর উপজেলায় শ্রেণিকক্ষে শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে অভিযুক্ত সেই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম।
তবে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবারের দায়ের করা মামলার পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
অভিযুক্ত শিক্ষক মো. তরিকুল ইসলাম সদর উপজেলার মাগুরা-কালুখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার বাড়ি নড়াইল সদরের মাইজপাড়া ইউনিয়নের বোড়ামারা গ্রামে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত বরখাস্তের চিঠিতে বলা হয়েছে, তরিকুল ইসলাম অর্থের বিনিময়ে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে কোচিং করাতেন। চলতি মাসের ১৫ অক্টোবর কোচিং শেষে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়। এ কারণে ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮’-এর আলোকে ২২ অক্টোবর থেকে তাকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১৫ অক্টোবর বিকালে স্কুল ছুটির পর চার শিক্ষার্থীকে শ্রেণিকক্ষে প্রাইভেট পড়াচ্ছিলেন তরিকুল ইসলাম। এ সময় কৌশলে তিন শিক্ষার্থীকে বাইরে পাঠিয়ে দিয়ে এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টা চালান।
পরিবার জানায়, সম্মানহানির ভয়ে তারা প্রথমে বিষয়টি চেপে যায়। পরে ২১ অক্টোবর নড়াইল সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবারের এক সদস্য বলেন, সবকিছু উপেক্ষা করে, সামাজিক সম্মানহানিকে তুচ্ছ করে মামলা করেছি। কিন্তু পাঁচ দিনেও অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়নি।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নড়াইল সদর থানার এসআই মাসুদ রানা বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক তরিকুলকে এখনো গ্রেফতার করা যায়নি। তবে তাকে গ্রেফতার করতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
