লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৩৯ জনের সম্পদের তথ্য চেয়েছে দুদক
রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:১০ এএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
লক্ষ্মীপুর পৌরসভার প্রকৌশলীসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগের ভিত্তিতে পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী জুলফিকার হোসেনসহ মোট ৩৯ জনের সম্পদের তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে সংস্থাটি।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুদকের চাঁদপুর জেলা কার্যালয় থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
দুদকের চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘রেকর্ড/তথ্য সরবরাহ’ (দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ধারা ১৯ ও দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭-এর বিধি ২০ অনুযায়ী) অনুসারে চাঁদপুর জেলা কার্যালয় থেকে গত ১৪ অক্টোবর লক্ষ্মীপুর পৌর প্রশাসক বরাবর অভিযোগ সংক্রান্ত অনুসন্ধানের বিষয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়।
অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন—নির্বাহী প্রকৌশলী জুলফিকার হোসেন, কর নির্ধারক আব্দুর রহমান, উপসহকারী প্রকৌশলী শামছুল আলম ও মোহাম্মদ ইসহাক, নকশাকারক এ বি এম আশরাফ উদ্দিনসহ বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের স্বজনরা।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, লক্ষ্মীপুর পৌরসভার তহবিল থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে উল্লিখিত ৩৯ জনের নামে যদি কোনো নাল জমি, ভিটি-বাড়ি, প্লট, দোকান, ফ্ল্যাট বা অন্য কোনো সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় হয়ে থাকে—তাহলে সেই সংক্রান্ত নামজারি, খতিয়ান বা অন্যান্য রেকর্ডের ছায়ালিপি দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তার কাছে জমা দিতে হবে।
অভিযুক্ত নির্বাহী প্রকৌশলী জুলফিকার হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি এখনো কোনো চিঠি পাইনি।
উপসহকারী প্রকৌশলী শামছুল আলম বলেন, আমাদের আয়কর রিটার্নের কাগজপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে। আমরা তা দেবো এবং তদন্তকারী কর্মকর্তাকে সহযোগিতা করছি।
লক্ষ্মীপুর পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা খান মোহাম্মদ ফারাবি বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। এখনো দাফতরিকভাবে কোনো চিঠি আমার কাছে আসেনি।
দুদকের চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আমাকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে অনুসন্ধান কার্যক্রম চলছে।
এ বিষয়ে মন্তব্য জানতে লক্ষ্মীপুর পৌর প্রশাসক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
