মাদকসহ বিএনপি নেতা আটক, ফাঁসানোর দাবি
হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৪২ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর খোরশেদ আলম ভুট্টুকে (৫৪) মাদকসহ আটক করেছে যৌথবাহিনী।
এদিকে বুধবার বিকালে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেছেন।
জামিনের পর তিনি জানান, একটি পক্ষ আমাকে ফাঁসিয়েছে। তিনি জানান, আমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে থানায় নিয়ে আসে।
জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে পৌরসভাধীন ১০নং ওয়ার্ড রান্ধুনীমূড়া এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে যৌথবাহিনী। অভিযানে খোরশেদ আলম ভুট্টুকে আটক করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ২ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, এক বোতল বিদেশি মদ ও ১০ পুরিয়া গাঁজা উদ্ধার করা হয়। বুধবার তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে সোপর্দ করে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাজীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুক।
এদিকে খোরশেদ আলম ভুট্টুকে আটকের ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গন ও তার এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিপক্ষের লোকজন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়েছে। বিএনপি নেতারাসহ ওই এলাকার লোকজন জানান, তাকে (খোরশেদ আলম ভুট্টু) ফাঁসানো হয়েছে। এটি ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কিছু না।
ওই এলাকার হাওলাদার বাড়ির দেলোয়ার হোসেন (৬৫), কাজীমুদ্দিন বেপারী বাড়ির প্রতিবন্ধী লাল মিয়া (৫৫) ও একই বাড়ির আবুল কাশেম (৪৮) জানান, খোরশেদ আলম ভুট্টু মাদকের সঙ্গে জড়িত নন। মঙ্গলবার রাতে সেনাবাহিনীর সদস্যরা কাজীমুদ্দিন বাড়ির মাদক ব্যবসায়ী সোহাগের বসতঘর তল্লাশি করেন। এরপর তারা (আইনশৃঙ্খলা বাহিনী) পারুলের ঘরে এসে কাউন্সিলরকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তাকে (সাবেক কাউন্সিলর) ধরে নিয়ে যান। পরে জানতে পেরেছি, কাউন্সিলরকে মদ, ইয়াবা ও গাঁজাসহ আটক করা হয়েছে। আসলে তিনি এসব কাজে জড়িত নন। খোঁজ নিয়ে দেখেন, এলাকার সবাই মনে করে তাকে ফাঁসানো হয়েছে।
কাজীমুদ্দীন বেপারী বাড়ির ভুলু, মাদক ব্যবসায়ী সোহাগের মা সুফিয়া বেগম ও বোন লিপি জানান, আর্মিরা এসে সোহাগের ঘুর-দুয়ার (বসতঘর) তল্লাশি করেছে। তবে কিছু পেয়েছে কিনা জানি না। এরপর শুনেছি, কাউন্সিলরকে ধরে নিয়ে গেছে। এ সময় সবাই সাবেক কাউন্সিলরকে নির্দোষ দাবি করে বিষয়টি তদন্তের দাবি জানান।
থানা প্রাঙ্গণে আসা উপজেলা ও পৌর বিএনপিসহ অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিষয়টিকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন। তারা জানান, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের লোকজন খোরশেদ আলম ভুট্টুকে ফাঁসিয়েছেন।
