Logo
Logo
×

সারাদেশ

দুলাভাইয়ের নেতৃত্বে শ্যালিকাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, ১৩ বছর পর রায়

Icon

ফরিদপুর ব্যুরো

প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১০:৪৮ পিএম

দুলাভাইয়ের নেতৃত্বে শ্যালিকাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা, ১৩ বছর পর রায়

ফরিদপুরে বড় বোনের স্বামীর নেতৃত্বে ছোট বোনকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শামীমা পারভীন এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় প্রধান আসামি জাহাঙ্গীর ব্যতীত অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের পুলিশ প্রহরায় কারাগারে পাঠানো হয়।

আদালতের রায়ে বড় বোনের স্বামী জাহাঙ্গীর ব্যাপারী, তার সহযোগী কামরুল মৃধা, আলী ব্যাপারী ও বক্তার ব্যাপারীকে ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং হত্যার দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন, এছাড়া প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডাদেশ দিয়েছেন।

এ মামলায় প্রমাণ লোপাটের দায়ে আসামি মমতাজ বেগম ও আবুল কালাম ব্যাপারীকে ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের পর থেকেই বড় বোনের স্বামী জাহাঙ্গীরের কুদৃষ্টি ছিল স্ত্রীর ছোট বোনের ওপর। বিষয়টি জানতে পেরে মেয়ের জামাইকে শাসিয়ে দেন শাশুড়ি। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে জামাই জাহাঙ্গীর।

২০১২ সালের পহেলা অক্টোবর বাড়িতে একাই ঘুমিয়ে ছিল ভিকটিম (শ্যালিকা)। গভীর রাতে দুলাভাই জাহাঙ্গীর বাড়িতে এসে দরজা নক করে শ্যালিকাকে ডেকে বলে তোমার বোন অনেক অসুস্থ, খবর দিতে বাড়ি এসেছি, দরজা খোল। শ্যালিকা সরল মনে দরজা খুলে দিলে জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে অন্য আসামিরা ঘরে প্রবেশ করে ভিকটিমকে পালাক্রমে ধর্ষণ ও হত্যা করে।

পরদিন প্রতিবেশীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঢাকা থেকে বাড়ি এসে লাশ দাফন করেন ভিকটিমের মা। পরবর্তীতে ধর্ষণ ও হত্যার বিষয়টি বুঝতে পেরে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত দীর্ঘ শুনানি শেষে সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে এ রায় প্রদান করেন।

আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী ভুঁইয়া রতন জানান, রাষ্ট্রপক্ষ এ রায়ে খুশি। তিনি বলেন, এ রায়ের ফলে এই ধরনের সামাজিক অপরাধ কমে আসবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম