তারেক রহমানের অপেক্ষায় সোনাগাজীর বিএনপির সেই কর্মী
জাবেদ হোসাইন মামুন, সোনাগাজী (ফেনী) দক্ষিণ
প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২৫, ১১:০৪ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফেরা ছাড়া ছেলে হত্যার মামলা করবেন না ফেনীর সোনাগাজীর ব্যবসায়ী ও বিএনপি কর্মী একরামুল হক সবুজ। কারো ভয়ে কিংবা প্ররোচনায় নয়, অন্য কারো আমলে ন্যায়বিচার পাবেন না মনে করেই তিনি চার বছরেও নিজের ছেলে হত্যার মামলা করেননি। তবে মামলার ড্রাফট তার কাছেই আছে।
২০২১ সালের ১৬ অক্টোবর ফেনীতে যুবলীগ নেতা শুসেন চন্দ্র শীলের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় বড় মসজিদের মুসল্লিদের লক্ষ্য করে যুবলীগের নেতাকর্মীদের ছোড়া গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন সোনাগাজী বাজারের ব্যবসায়ী মো. এমদাদুল হক কাউসার (২১)। তিনি ঢাকার কাকরাইল ইসলামিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর শুক্রবার রাতে মারা যান।
পরদিন ৩০ অক্টোবর শনিবার দুপুর ২টায় বাড়ির সামনে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। তার জানাজায় দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের জনতার ঢল নামে।
এমদাদুল হক কাউসার সোনাগাজী বাজারের পান বাজারের ব্যবসায়ী এবং উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের ভোয়াগ গ্রামের রাজ্জাক মাস্টার বাড়ির বিএনপি কর্মী একরামুল হক সবুজের বড় ছেলে।
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী জানান, ২০২১ সালের ১৬ অক্টোবর তৎকালীন ফেনী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীলের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ফেনী কেন্দ্রীয় বড় মসজিদের মুসল্লিদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। কাউছার নামাজ শেষে বের হওয়ার সময় মাথা ও মুখে গুলিবিদ্ধ হন।
মামলার ভয়ে বেসরকারি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সোনাগাজীর নিজ বাড়িতেই ছিলেন কাউছার। ২৮ অক্টোবর বৃহস্পতিবার রাত থেকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ২৯ অক্টোবর শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে তাকে ঢাকায় নিয়ে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের বাবা একরামুল হক সবুজ জানান, ওই দিন দোকানের মালামাল কিনতে কাউসার বিকালে ফেনী গিয়েছিল। ফেনী কেন্দ্রীয় বড় জামে মসজিদ থেকে নামাজ শেষে বের হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হন কাউছার। এলাকার নম্র-ভদ্র কাউসার বাবার সঙ্গে ব্যবসা দেখাশোনা করতেন। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে কাউসার ছিলেন সবার বড়।
