পুলিশি পাহারায় পুরস্কার বিতরণ করলেন হত্যা মামলার আসামিরা!
বানিয়াচং (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ নভেম্বর ২০২৫, ০৯:৫৯ পিএম
ভাইরাল ভিডিওর একটি চিত্র। ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচংয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা মামলার আসামি দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন যুবলীগের সেক্রেটারি মঞ্জুম কুমার দাসসহ তিন আসামির একটি ফুটবল টুর্নামেন্টে পুলিশের পাহারায় পুরস্কার বিতরণের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
জানা যায়, পুলিশ-আওয়ামী লীগের গুলিতে শহীদ ৯ ছাত্র-জনতা হত্যা ও শতাধিক আহত হওয়ার ঘটনায় মামলার এজাহারনামীয় ৫নং আসামি দৌলতপুর ইউপি চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন যুবলীগের সেক্রেটারি মঞ্জুম কুমার দাস। এছাড়াও অতিথি ছিলেন একই মামলার ১৩৩নং আসামি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি লুৎফুর রহমান, ১৫৩নং আসামি আজিজুল মিয়া।
জানা যায়, উপজেলার ৫নং দৌলতপুর প্রিমিয়ার লিগ সিজন-১ নামে ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা শুক্রবার স্থানীয় চকবাজারের মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মঞ্জু কুমার দাস। এ সময় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি লুৎফুর রহমান ও আজিজুল মিয়া উপস্থিত থেকে পুরস্কার বিতরণ করেন। প্রায় ২ ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠানে ওই ইউনিয়নের বিট অফিসার এসআই জিয়াউর নিরাপত্তা দেন। ওই অনুষ্ঠানের ভিডিও ভাইরালের পর অসংখ্য প্রতিবাদী পোস্ট হয়।
জুলাই আন্দোলনে গুরুতর আহত সাদ্দাম হোসেন তার নিজস্ব ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লেখেন- ৫ আগস্টের ছাত্র-জনতার ৯ হত্যা মামলার আসামি ৫নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মঞ্জুম কুমার দাসের সঙ্গে প্রশাসন কত টাকার বিনিময়ে আপস করেছে? জবাব চাই, দিতে হবে।
এদিকে বানিয়াচং উপজেলার সব আওয়ামী ইউপি চেয়ারম্যানরা অপসারিত হয়ে পলাতক থাকলেও দীর্ঘ দেড় বছর ধরে মামলার আসামি হয়েও চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন মঞ্জুম। তাকে অপসারণ না করে উলটো তার পরিষদে বরাদ্দ এবং তাকে সরকারি সুযোগ সুবিধা দিয়ে আসছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা বেগম সাথী।
বানিয়াচং থানার এসআই জিয়াউর শনিবার দুপুর ২টার দিকে তার নিজস্ব ফেসবুকে লাইভে এসে বলেন, আমি বিশাল একটি জনসমাগমে নিরাপত্তা দিয়েছি, আসামিকে আমি চিনি না। তার পোস্টের কমেন্টে অনেকেই লিখেছেন- আপনি ওই ইউনিয়নের বিট অফিসার অথচ চেয়ারম্যানকেই চেনেন না; যা হাস্যকর, আপনি আসামিদের কাছ থেকে কত টাকা মাসোহারা নেন? সেটা জাতি জানতে চায়।
ওসি মিজানুর রহমান জানান, বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অপরদিকে ইউএনও মাহমুদা বেগম সাথীর ফোনে বারবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
