ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা হবে: কায়সার কামাল
দুর্গাপুর (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ১১:২৪ পিএম
বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির আয়োজনে হাজং সম্প্রদায়ের দেউলী উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কেন্দ্রীয় বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে, বাংলাদেশের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যসহ হারিয়ে যাওয়া সবরকম সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনবে।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকালে বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির আয়োজনে হাজং সম্প্রদায়ের দেউলী উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দুর্গাপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী শ্যামনগর গ্রামে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী দেউলী উৎসব উদ্বোধন করেন আদিবাসী লেখক ও গবেষক মতিলাল হাজং। পরবর্তীতে প্রদীপ প্রজ্বালন, দেউলী পূজা, আলোচনা সভা ও হাজং সম্প্রদায়ের ইতিহাস ঐতিহ্য তুলে ধরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় কবি দোলন হাজং হাজংয়ের সঞ্চালনায়, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি পরিচালক কবি পরাগ রিছিলের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন- বাসস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব মোর্শেদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মিজানুর রহমান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এমএ জিন্নাহ, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সংস্কৃতিকর্মী আব্দুল্লাহ আল মামুন মুকুল, জাতীয় হাজং সংগঠনের সভাপতি পল্টন হাজং, হাজং নারীনেত্রী সন্ধ্যা রানী হাজং, শ্যামনগর হাজং গ্রাম প্রতিনিধি সজল হাজংসহ বিভিন্ন অঞ্চলের হাজং সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বাসস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহবুব মোর্শেদ বলেন, হাজংরা উৎসবমুখর জাতি। হাজংদের অধিকাংশ উৎসব বিলুপ্তির পথে। তাদের ধর্মীয় ও কৃষিভিত্তিক উৎসবগুলোর মধ্যে দেউলী পৌষ উৎসব অন্যতম বর্ণিল উৎসব। জীবনঘনিষ্ঠ এই উৎসব বাঁচিয়ে রাখার জন্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমিকে ধন্যবাদ জানাই।
ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, হাজংরা নিজেদের আত্মপরিচয়, সংস্কৃতিচর্চা ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে যেন আরও বেশি যত্নশীল হয় এবং তারা যেন সোনালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য নিয়ে গর্ব করতে পারে, বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় গেলে এগুলো নিয়ে কাজ করবে।
তিনি আরও বলেন, হাজং সম্প্রদায় তথা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক কৃষ্টি ধরে রাখতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালে সারা দেশে বেশ কয়েকটি কালচারাল একাডেমি তৈরি করেছিলেন। বিএনপি সব সময়ই ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক চেতনা উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাবে।
আলোচনা শেষে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত হাজং শিল্পীরা নিজেদের কৃষ্টি তুলে ধরে নৃত্য ও গান পরিবেশন এবং ঐতিহ্যবাহী মহিষাসুরবধ পালা তুলে ধরেন।
