ঝিনাইদহ পুলিশের কাণ্ড, যুগান্তর সাংবাদিকের কাছে রহস্যজনক সমন
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:২০ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
যুগান্তর পত্রিকার সাংবাদিকের কাছে রহস্যজনক সমন। কাণ্ডটি ঘটিয়েছেন ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ হোসেন। তথ্যপ্রমাণসহ নিজ দপ্তরে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। সেই মোতাবেক ১০ নভেম্বর বেলা ১১টায় হাজির হতে হবে।
নির্দেশনামার একটি ফটোকপি (অস্পষ্ট) সদর থানার দুইজন কনস্টেবল দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার ঝিনাইদহের প্রতিনিধি মিজানুর রহমানের হাতে ধরিয়ে দিয়েছেন। নাছোড়বান্দা হয়ে অপর একটি ঘষামাজা করা কপিতে প্রাপ্তি স্বীকার করিয়ে ফিরে গেছেন তারা। সেটি স্পষ্ট করে পড়া যায়নি।
ঘটনাটি ঘটেছে ৭ নভেম্বর (শুক্রবার) রাতে; কিন্তু কোন অভিযোগের ভিত্তিতে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে- এমন তথ্য ওই (সমন) পত্রে উল্লেখ করা হয়নি।
রোববার (৯ নভেম্বর) দুপুরে একই সমনের অপর একটি কপি হোয়াটসঅ্যাপে পাওয়ার পরে গণমাধ্যম কর্মীদের মাঝে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়ে।
জানা যায়, সমনপত্রে বিষয় হিসেবে অভিযোগ অনুসন্ধানকালে সাক্ষী হাজির থাকা প্রসঙ্গে অফিসার ইনচার্জ ঝিনাইদহ থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সাক্ষী হিসেবে মিজানুর রহমান সাংবাদিক দৈনিক যুগান্তরের নাম লেখা হয়েছে। সূত্র হিসেবে ঝিনাইদহ রিজার্ভ অফিসের স্মারক নাম্বার ৩৭৭৫/আরও, তারিখ ২৪/০৯/২০২৫ উল্লেখ করা হয়েছে।
সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্বাক্ষরিত সমনটি (পত্র) হুবুহু তুলে ধরা হলো।
তিনি (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) লিখেছেন- ‘সূত্রে উল্লেখিত স্মারক মোতাবেক প্রাপ্ত অভিযোগ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করে জবানবন্দি লিপিবদ্ধকরণসহ প্রমাণাদি সংগ্রহের জন্য সাক্ষীকে ১০ নভেম্বর বেলা ১১টার দিকে নিজ পক্ষের সাক্ষ্যপ্রমাণসহ সদর সার্কেল অফিসে (ঝিনাইদহ স্টেডিয়ামের দক্ষিণ পার্শ্বে, সদর উপজেলা রোডে) হাজির হওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো। সাক্ষী মিজানুর রহমান সাংবাদিক দৈনিক যুগান্তর পত্রিকা ঝিনাইদহ।’
জানা যায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মো. মাহফুজ হোসেন ৬ নভেম্বর স্বাক্ষর করেছেন। ২৪১৪নং অফিস স্মারকে অফিসার ইনচার্জ ঝিনাইদহ থানাকে সমনটি পাঠানো হয়েছে। ৮ নভেম্বর (২০২৫) অফিসার ইনচার্জ ঝিনাইদহ থানার এএসআই (সদর থানা) অরিফুলকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে; কিন্তু সদর থানার কনস্টেবল হুমায়ুন কবীর ও হেলাল উদ্দীন ৭ নভেম্বর রাতে একটি ফটোকপি (অস্পষ্ট) নিয়ে হাজির হন প্রাপকের কাছে।
এদিকে অজ্ঞাত অপরাধীকে আড়ালে রাখতে এবং মূলধারার গণমাধ্যম কর্মীদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে রহস্যজনক সমনটি পাঠানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দ্রুত তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা।
এ বিষয়ে জানতে রোববার রাতে ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ হোসেনকে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
