Logo
Logo
×

সারাদেশ

মুহুর্মুহু গুলির শব্দে কেঁপে উঠল রোহিঙ্গা ক্যাম্প

Icon

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:১৯ পিএম

মুহুর্মুহু গুলির শব্দে কেঁপে উঠল রোহিঙ্গা ক্যাম্প

কক্সবাজার টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুড়া শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাতভর মুহুর্মুহু গুলির শব্দে কেঁপে উঠে পুরো এলাকা। এতে সাধারণ রোহিঙ্গা ও স্থানীয় হোস্ট কমিউনিটিতে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।

রোববার রাত ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৬ এপিবিএন পুলিশ  সদস্যরা ফাঁকা গুলি ছুড়েছে বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রোববার দিবাগত রাত ১০টায় হঠাৎ করে শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্প ২৬-এর আই ব্লক ও মোছনী নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এইচ এবং আই ব্লকে গোলাগুলি শুরু হয়। এতে সাধারণ রোহিঙ্গা ও আশপাশের হোস্ট কমিউনিটির লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। 

আরও জানা যায়, অপহরণ, মাদকের চালান, মানবপাচার ও চাঁদাবাজিকে কেন্দ্র করে আধিপত্য বিস্তার করতে ছালেহ গ্রুপ ও নুর কামাল গ্রুপের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে মোছনী নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আই ব্লকে। দুই সশস্ত্র গ্রুপের মধ্যে অন্তত শত শত রাউন্ডের গুলি বিনিময় হয়। গোলাগুলির শব্দে বোঝা যায় উভয়পক্ষের মধ্যে অত্যাধুনিক ভারি অস্ত্র রয়েছে।

স্থানীয় মোছনী এলাকার হোছন জানান, হঠাৎ করেই রাতের বেলায় শত শত রাউন্ড গুলির আওয়াজে আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ি। মনে হয়েছিল কোনো দেশের সঙ্গে যুদ্ধ চলছে। এ সময় এলাকায় আতঙ্ক  বিরাজ করে। এদিকে রাতভর গোলাগুলি চললেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা চোখে পড়েনি বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন। 

এ ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ১৬ এপিবিএন পুলিশ অধিনায়ক মো. কাউছার সিকদার বলেন, পাহাড়ে অবস্থানরত নুর কামাল ও ছালেহ গ্রুপের সন্ত্রাসীরা নয়াপাড়া ১৬ এপিবিএন পুলিশ ক্যাম্পের পেছন দিক থেকে আক্রমণের চেষ্টা করে। এপিবিএন সদস্যরা পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তুলতে শটগান থেকে শতাধিক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। পরে তারা টিকতে না পেরে পেছনের পাহাড়ে পালিয়ে যায়। রাতের আঁধারে অভিযান চালানো জীবনের ঝুঁকি হওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে। বর্তমানে ক্যাম্পের পরিস্থিতি শান্ত ও এপিবিএন পুলিশের টহল জোরদার আছে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম