Logo
Logo
×

সারাদেশ

মুখে ছ্যাঁকা দিয়ে স্ত্রীর পায়ের রগ কেটে দিলেন স্বামী

Icon

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০৩:০৭ পিএম

মুখে ছ্যাঁকা দিয়ে স্ত্রীর পায়ের রগ কেটে দিলেন স্বামী

যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় স্বামীর অমানবিক নির্যাতনের স্বীকার গৃহবধূ। ফাইল ছবি

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে যৌতুকের বাকি ৩৫ হাজার টাকা দিতে না পারায় স্বামীর অমানবিক নির্যাতনে গুরুতর আহত হয়েছেন শারমিন আক্তার (২৮) নামে এক গৃহবধূ। বর্তমানে তিনি সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।  ঘটনার পর থেকেই বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন অভিযুক্ত স্বামী আলমগীর হোসেন (৩৫)। 

সোমবার (১০ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের ছোট দাউদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

পরে রক্তাক্ত ও অচেতন অবস্থায় স্থানীয় গ্রাম পুলিশ ও প্রতিবেশীরা শারমিনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। তবে দিনভর ঘটনাটি গোপন থাকলেও সোমবার (১০ নভেম্বর) রাতে ভুক্তভোগীর মা সুফিয়া বেগম থানায় লিখিত অভিযোগ করলে বিষয়টি সাংবাদিকদের নজরে আসে। 

দুই সন্তানের জননী শারমিন আক্তার একই গ্রামের আলমগীর হোসেনের স্ত্রী। স্বামী আলমগীর হোসেন সাদা মিয়ার ছেলে। 

পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়রা জানান, প্রায় চার বছর আগে একই উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের তাহেরপুর গ্রামের মৃত্যু শহিদুল ইসলাম বকুর মেয়ে শারমিন আক্তারকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন আলমগীর। বিয়ের পর থেকেই সামান্য কথাকাটাকাটিতেই স্ত্রীকে নির্যাতন করতেন তিনি। এরই জেরে সোমবার সকালে আলমগীর প্রথমে লোহার রড আগুনে গরম করে স্ত্রীর মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছ্যাঁকা দেন। এরপর কাঁচি দিয়ে শারমিনের বাম পায়ের রগ কেটে দেন। এতে প্রচণ্ড রক্তক্ষরণে শারমিন অচেতন হয়ে পড়েন। 

শারমিনের মা সুফিয়া বেগম বলেন, ‘বিয়ের পর থেকেই মেয়েকে নির্যাতন করে আসছে আলমগীর। আজকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে এমন নৃশংস নির্যাতন করেছে। আমরা থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। ’

তিনি আরও বলেন, ‘সংসারে স্ত্রী-সন্তানের দেখভাল করে না আলমগীর। নির্যাতনের পর মেয়েকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে প্রতিবেশী ও গ্রাম পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনি। ’ 

সাদুল্লাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. নুপুর বলেন, ‘রোগীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর দগদগে ক্ষত রয়েছে। বিশেষ করে পায়ের রগ কাটার কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ’ 

এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর থানার ওসি তাজ উদ্দিন খন্দকার বলেন, ‘ঘটনাটি জানার পরেই হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। রাতে ওই নারীর মা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম