ডাস্টার দিয়ে ছাত্রীর মাথা ফাটালেন প্রধান শিক্ষক
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৫, ১০:৫৬ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ডাস্টার দিয়ে পিটিয়ে বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কেশবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার দৃশ্য দেখে শুধু উপজেলা নয় জেলাজুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছে।
ভিডিওতে দেখা গেছে, গত রোববার (৯ নভেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে শ্রেণিকক্ষ ও বাহিরে ছোটাছুটি করছিল কিছু শিক্ষার্থী। এ সময় স্কুলের প্রধান শিক্ষক সপ্তম শ্রেণির কক্ষে প্রবেশ করেন এবং শিক্ষার্থীদের শাসন করতে শুরু করে কান ধরে দাঁড় করিয়ে রাখেন। দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে সামনের টেবিলে বসে থাকা এক ছাত্রীর প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ডাস্টার দিয়ে বেধড়ক আঘাত করতে থাকেন তিনি। এতে তার মাথা ফেটে রক্ত ঝরতে থাকে। পরে তিনি টিস্যু দিয়ে রক্ত মুছে দেন। রক্ত ঝরলেও তখনো শিক্ষার্থীকে কান ছাড়তে দেননি ওই শিক্ষক। পরে অন্য একজন শিক্ষার্থীকে দিয়ে ক্লাশের মেঝেতে পড়ে থাকা রক্ত মুছে ফেলেন।
আহত ছাত্রীর বাবা মুজিবুর রহমান বলেন, আমার মেয়েকে অমানবিকভাবে মারধর করে রক্তাক্ত করেছেন প্রধান শিক্ষক। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। বিষয়টি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিকে জানিয়েছি।
স্থানীয় অভিভাবক ও সচেতন মহল ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, একজন শিক্ষক কর্তৃক কোমলমতি শিক্ষার্থীকে এমন নির্যাতন মেনে নেওয়া যায় না। দ্রুত তদন্ত করে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সুনামগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল করিম সাঈদ বলেন, এই যুগে এমনভাবে শিক্ষার্থীকে আঘাত করা গুরুতর অন্যায়। বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। প্রধান শিক্ষক যেভাবে রাগে ফুঁসছিলেন তাতে আরও বড় ঘটনা ঘটতে পারত। এরকম শিক্ষককে জবাবদিহিতার আওতায় আনা জরুরি।
এ বিষয়ে জানতে প্রধান শিক্ষক ফারুক আহমেদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সুনামগঞ্জ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। আমরা অভিভাবককে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগের ভিত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. বরকত উল্লাহ বলেন, বিষয়টি শুনেছি। কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
