|
ফলো করুন |
|
|---|---|
টানা গত ১ সপ্তাহ ধরে পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে বিরাজ করছে। ফলে দিন দিন শীতের তীব্রতা বাড়ছে। বুধবার সকাল ৬টায় দেশের সর্ব উত্তরের এ জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৮ শতাংশ।
তবে চলতি মাসের শেষের দিকে পঞ্চগড়ে একটি হাল্কা শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায়।
এদিকে এর আগের কয়েক দিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী মঙ্গলবার তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৬, সোমবার ১৪ দশমিক ৫, রোববার ১৪ দশমিক ৭, শনিবার ১৪ দশমিক ২ এবং শুক্রবার তাপমাত্রা ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার থেকে বুধবার পর্যন্ত এই ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
ময়নাগুড়ি টি এস্টেটে কর্মরত শ্রমিক বাবুল হোসেন জানান, চা বাগানে চা পাতা তোলার কাজ মূলত ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়। আর এ সময় পঞ্চগড়ের সকাল থাকে কুয়াশায় ঢাকা। এর সঙ্গে হিমেল হাওয়া বয়ে চলে। ভোরের ঠাণ্ডায় তাদের কাজ করতে বেশ কষ্ট ভোগ করতে হয়।
এছাড়া মহানন্দা নদীর ঠাণ্ডা পানিতে দীর্ঘ সময় ধরে পাথর উত্তোলন করে জীবিকা নির্বাহ করে প্রায় কয়েক হাজার পুরুষ ও নারী শ্রমিক। সকালের কুয়াশা এবং উত্তরের হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ায় তারা চাহিদা মতো পাথর উত্তোলন করতে পারেন না। ফলে তাদের জীবিকায় টান পড়ে।
এদিকে দুপুরের পর থেকে বাতাস বইতে শুরু করলে তাপমাত্রা ক্রমেই নিচে নামতে থাকে। প্রতিদিনই সন্ধ্যার পর থেকেই শীতের কারণে গ্রামের হাট বাজারগুলোতে মানুষের আনাগোনা কমতে থাকে। শীত মোকাবেলায় এখন রাতের বেলায় রীতিমতো লেপ-কম্বল ব্যবহার করতে হয় বাসিন্দাদের।
এ বিষয়ে পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক কাজী মো. সায়েমুজ্জামান জানান, পঞ্চগড়ের শীতার্ত মানুষের জনদুর্ভোগ মোকাবিলার জন্য ইতোমধ্যে শীতবস্ত্রসহ আর্থিক সহায়তার জন্য মন্ত্রণালয়ে বার্তা পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অধিকতর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
