আখাউড়া দিয়ে ভারতে মাছ রপ্তানি বন্ধ
আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:২৩ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
‘ফিসারিজ সার্টিফিকেট অনলাইন’ জটিলতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে মাছ রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) সকাল থেকে মাছ রপ্তানি করতে পারছেন না বন্দরের ব্যবসায়ীরা।
এ জটিলতা নিরসন না হলে প্রতিদিন অন্তত এক লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের তাজা মাছ রপ্তানি আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বন্দরের ব্যবসায়ীরা বলছেন, আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন প্রায় লক্ষাধিক মার্কিন ডলারের ৫০ থেকে ৭০ মেট্রিক টন হিমায়িত তাজা মাছ ভারতে রপ্তানি হয়ে থাকে। আর এ তাজা মাছ রপ্তানির ক্ষেত্রে সনদ (ফিসারিজ সার্টিফিকেট) দেয় মৎস্য অধিদপ্তর। তবে এতদিন সেই সনদ ম্যানুয়ালি দেওয়া হলেও গত ১৩ নভেম্বর থেকে সনদটি অনলাইন করার নির্দেশনা দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
কিন্তু মৎস্য অধিদপ্তর ‘ফিসারিজ সার্টিফিকেট অনলাইন’ পদ্ধতিতে না করায় বৃহস্পতিবার থেকে বিল অব এন্ট্রি করতে পারছেন না মাছ রপ্তানিকারকরা। ফলে সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ভারতে মাছ রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়ে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের মাছ রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফারুক মিয়া জানান, বন্দরের রপ্তানি আয়ের সিংহভাগই আসে মাছ রপ্তানি বাণিজ্যের মাধ্যমে। এনবিআরের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও মৎস্য অধিদপ্তরের গাফিলতির কারণে ‘ফিসারিজ সার্টিফিকেট অনলাইন’ না নেওয়ায় মাশুল দিতে হচ্ছে মাছ ব্যবসায়ীদের। জটিলতা নিরসন না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন অন্তত দেড় কোটি টাকার মাছ রপ্তানি করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। সরকার বৈদেশিক আয় থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে।
আখাউড়া বন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) মো. মেহেদী হাসান বলেন, প্রতিদিন আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে লক্ষাধিক মার্কিন ডলার মূল্যের হিমায়িত তাজা মাছ ভারতে রফতানি হয়ে থাকে; কিন্তু ব্যবসায়ীরা ‘ফিসারিজ সার্টিফিকেট অনলাইন’ পদ্ধতিতে না করতে পারায় এ পথে ভারতে মাছ রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যায়। এতে স্থবিরতা বিরাজ করছে আখাউড়া স্থলবন্দরে।
আখাউড়া কাস্টমস সহকারী কমিশনার কাজী মাসুম বলেন, আগে ম্যানুয়ালি পদ্ধতিতে মাছ রপ্তানি করা হলেও গত ১৩ নভেম্বর এনবিআর নির্দেশনা দিয়েছেন ‘ফিসারিজ সার্টিফিকেট অনলাইন’ পদ্ধতিতে মাছ রপ্তানি করতে হবে; কিন্তু সংশ্লিষ্ট মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ ফিসারিজ সার্টিফিকেট অনলাইন করতে না করায় এ জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। তবে তা দ্রুতই নিরসনে মাছ রপ্তানি শুরু হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
আখাউড়া মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম বলেন, এনবিআরের নির্দেশনার বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। তবে এ সমস্যা নিরসনের চেষ্টা চলছে।
