রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র
ভাঙ্গায় ১৬ চেয়ারম্যানসহ আ.লীগের ১৭৭ নেতাকর্মীর নামে মামলা
অজ্ঞাত আসামি ১১০০
ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২০ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:৩৫ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে পৃথক ৪টি মামলা করেছে ভাঙ্গা থানা পুলিশ। মামলায় বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাত, রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র, দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা, নিরাপত্তায় বিঘ্ন করা, জনমনে ত্রাস ও আতঙ্ক সৃষ্টি করার অভিযোগে এনে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা ৪টি দায়ের করেন।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনে করা চারটি মামলায় ভাঙ্গা উপজেলার বর্তমান ও সাবেক ১৬ জন চেয়ারম্যানসহ আওয়ামী লীগের ১৭৭ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। ওই মামলাগুলোয় আরও ১ হাজার ১শ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
গত ১৬ নভেম্বর রাতে ভাঙ্গা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে এই চারটি মামলা দায়ের করেন। বুধবার রাতে মামলার সংবাদ জানাজানি হলে সবার মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ১৩ নভেম্বর সকালে ভাঙ্গা উপজেলার শুয়াদি বাসস্ট্যান্ড, পুলিয়া বাসস্ট্যান্ড, মুনসুরাবাদ বাসস্ট্যান্ড ও মালিগ্রাম বাসস্ট্যান্ডের ৪টি পয়েন্টে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের শত শত নেতাকর্মী জড়ো হয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এরপর তারা বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে উৎখাত, রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্র, দেশে অস্থিতি পরিস্থিতি সৃষ্টি করা, জনমনে আতঙ্ক ও ত্রাস সৃষ্টি করাসহ নাশকতা করার পরিকল্পনা করেন।
তারা ঢাকা শহর লকডাউনসহ সারা দেশ অচল করার লক্ষ্যে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, মহিলা লীগের শত শত সমর্থনকারীরা একযোগে অগ্নিসংযোগ ভাঙচুরসহ সরকারের বিপক্ষে নানা ধরনের উস্কানিমূলক স্লোগান দেয়।
মামলার আসামি ভাঙ্গা উপজেলার বর্তমান ও সাবেক ১৬ চেয়ারম্যান হলেন- ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. কাওসার ভুঁইয়া ও হাবিবুর রহমান হাবিব, চান্দা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক, কালামৃধা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল মাতুব্বর ও সাবেক চেয়ারম্যান লিটন ওরফে লিটু ও কাওলিবেড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম দুদুমিয়া, চুমুরদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. সোহাগ, নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহীন আলম সাহাবুর, সাবেক চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম তারেক ও সাবেক চেয়ারম্যান মো. আশরাফ মীর, তুজারপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান অলিউর রহমান ও সাবেক চেয়ারম্যান পরিমল চন্দ্র, মানিকদাহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহীদুল্লাহ বাচ্চু, নাসিরাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর খান ও সাবেক চেয়ারম্যান লাভলু এবং ঘারুয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান মো. মুনসুর আহমেদ।
ভাঙ্গা থানার ওসি মো. আশরাফ হোসেন বলেন, গত ১৩ নভেম্বর সকালে ৪টি পয়েন্টে ঢাকা লকডাউনসহ সারা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি করার লক্ষ্যে অগ্নিসংযোগ ভাঙচুর করায় নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর নামে ভাঙ্গা থানায় ৪টি মামলা হয়েছে। মামলায় মোট ১৭৭ জনে নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত প্রায় ১ হাজার ১শ জনকে আসামি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, পলাতক আসামিদের নাম-ঠিকানা শনাক্তকরণসহ গ্রেফতারের লক্ষ্যে বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা শেষে থানায় এসে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ আলোচনা শেষে এজাহার দায়ের করতে বিলম্ব হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতার এর অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
