এককভাবে পরীক্ষা নিচ্ছেন প্রধান শিক্ষকরা
কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৬ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
নেত্রকোনার কলমাকান্দায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা চলমান আন্দোলনে পরীক্ষা বর্জন করে কর্মবিরতি পালন করেছেন। এদিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সহযোগিতায় পরীক্ষা নিচ্ছেন।
তবে কোথাও কোথাও কিছু সংখ্যক সহকারী শিক্ষক পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। এতে শিক্ষার্থীরা এক ধরনের মানসিক চাপে পড়েছে। একই সঙ্গে অভিভাবকরাও তাদের সন্তানদের নিয়ে উদ্বিগ্ন।
উপজেলা শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, কলমাকান্দা উপজেলার ১৭২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২৮ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। এর বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন ৯১৬ জন। মঙ্গলবার কিছু বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকরা পরীক্ষা বর্জন করায় পরীক্ষা হয়নি বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে জানা গেছে। অন্য বিদ্যালয়গুলোতে যথাসময়ে বার্ষিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
১০-১৫ জন সহকারী শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা কর্মবিরতি পালন করবেন। দাবি আদায় হলে তারা নিজস্ব অর্থায়নে নতুন প্রশ্নপত্র তৈরি করে পুনরায় পরীক্ষা নেবেন বলেও জানান।
কলমাকান্দা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক একেএম শাহজাহান কবীর বলেন, আমি উপজেলা শিক্ষা অফিসার ও অভিভাবকদের সহায়তায় পরীক্ষা নিচ্ছি। সহকারী শিক্ষকরা কর্মবিরতিতে আছেন।
চৈতননগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. আব্দুল কাদির বলেন, আমরা পরীক্ষা বর্জন করেছি। তাই আমাদের বিদ্যালয়ে পরীক্ষা হচ্ছে না। তবে দাবি মানলে নিজস্ব অর্থায়নে প্রশ্নপত্র তৈরি করে পরীক্ষা নেব।
সহকারী শিক্ষক কামরুল হাসান বলেন, যেসব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা পরীক্ষা নিচ্ছেন, খাতার মূল্যায়নও তারাই করবেন। আমাদের দাবি আদায় না হলে কর্মবিরতি অব্যাহত থাকবে।
শিক্ষার্থী অভিভাবক প্রান্ত সাহা বিভাস বলেন, শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে আন্দোলন কোনোভাবেই কাম্য নয়। এতে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অন্য উপায়ে দাবি আদায়ের অনুরোধ জানাচ্ছি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির আহ্বায়ক এমদাদুল হক জানান, আমার জানামতে সব বিদ্যালয়েই প্রধান শিক্ষকরা শিক্ষা অফিসারের সহযোগিতায় বার্ষিক পরীক্ষা নিচ্ছেন। তবে সহকারী শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করেছেন।
কলমাকান্দা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোশারফ হোসেন খান বলেন, আমরা বিভিন্ন বিদ্যালয় পর্যবেক্ষণ করছি। সব বিদ্যালয়েই পরীক্ষা হচ্ছে। সহকারী শিক্ষকরা কর্মবিরতিতে থাকায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে।
