Logo
Logo
×

সারাদেশ

মধুপুরে সুদের টাকা আদায়ে বাড়িতে হামলা, টাকা-গরু লুট

Icon

মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:১৭ পিএম

মধুপুরে সুদের টাকা আদায়ে বাড়িতে হামলা, টাকা-গরু লুট

টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার আউশনারা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বেলচুঙ্গি এলাকায় মূলসহ সুদের টাকা আদায় করতে হবিবুর রহমান নামের এক ঋণ গ্রহীতার বাড়িতে হামলা, টাকা ও গরু লুট এবং মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ঋণদাতা ভোলা নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

সুদে লাগানো ঋণদাতা ভোলা বেলচুঙ্গি গ্রামের মৃত মোন্তাজ আলীর ছেলে। ঋণ গ্রহীতা হবিবর একই গ্রামের মৃত আরফান আলীর ছেলে। তারা একে অপরের প্রতিবেশী।

মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাড়িতে হামলা ও লুটের এ ঘটনা ঘটে। 

হবিবুর জানান, সাংসারিক প্রয়োজনে তিনি প্রতিবেশী ভোলার কাছ থেকে দুই বছর আগে প্রতি বছর ২৭ হাজার টাকা সুদে ২ লাখ টাকা ঋণ নেন। বিগত দুই বছর তিনি ২৭ হাজার করে ৫৪ হাজার টাকা সুদ পরিশোধ করেছেন। এবার টাকা পরিশোধে একটু বিলম্ব হয়। ভোলা এবার সুদসহ মূল টাকা ফেরত পেতে চাপ দিতে থাকেন। থানায় অভিযোগ করে প্রভাব খাটিয়ে টাকা পরিশোধের চাপও দেন। টাকা ফেরত দিতে ব্যর্থ হয়ে ১০-১২ দিন আগে চাষের জন্য ভোলাকে জমি ছেড়ে দেন; কিন্তু মঙ্গলবার হঠাৎ ঋণদাতা ভোলা- মিন্টু, হানিফ, সিদ্দিক ড্রাইভারসহ বেশ কিছু লোকজন নিয়ে তার বাড়িতে হামলা করে লুটপাট চালান।

ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি, এ সময় ট্রাঙ্ক ভেঙে ইতোমধ্যে ১৬ শতাংশ জমি বিক্রি করে রাখা টাকা ও দুইটি গরু লুট করে নিয়ে যায়; বাধা দিতে গেলে লাঠি, প্লাস্টিকের চেয়ার দিয়ে আঘাত করে। এতে তিনিসহ কয়েকজন আহত হন।

ভোলা মিয়া লুট ও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তার কাছ থেকে চার বছর আগে ২ লাখ টাকা নিয়েছিল হবিবুর। ধানের উপরে। জমিও দিতে চেয়েছেন। সময় পার হলেও জমি-টাকা কোনোটাই দিচ্ছেন না। মীমাংসা বৈঠকের সিদ্ধান্ত মানেনি। থানায় অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতেও পরিশোধ করে নাই। ক্ষুব্ধ হয়ে কয়েকজন লোক নিয়ে দুইটা গরু আনা হয়েছে। সেই গরু দুইটা ১ লাখ ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। 

ভুক্তভোগী হবিবুর অভিযোগ করেন, ঘটনার পর থানায় অভিযোগ দিতে চাইলে অভিযোগ নেয়নি।

মধুপুর থানার ওসি এমরানুল কবির জানান, নাগরিকের যেকোনো আইনি সমস্যায় অভিযোগ দিলে থানা অবশ্যই নেবে। আবার অভিযোগ নিয়ে থানায় পাঠানোর জন্য অনুরোধ করেন তিনি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম