২৪ ডিসেম্বর ঘোষিত তারিখে নির্বাচনের আলটিমেটাম
রংপুর ব্যুরো
প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৪০ পিএম
ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী ও হল সংসদ (ব্রাকসু) নির্বাচন স্থগিতের খবরে উত্তাল হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। নির্বাচন নিয়ে প্রশাসনের দীর্ঘসূত্রিতা, সময়ক্ষেপণ এবং সদিচ্ছার অভাবের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে ইসলামী ছাত্রশিবির।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) ঘোষিত ২৪ ডিসেম্বরে নির্বাচন সম্পন্নের দাবি করেন তারা। তা না হলে আন্দোলন গড়ে তোলার হুমকি দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জুলাই আন্দেলনের সমন্বয়ক আপেল মাহমুদ, উম্মে হাবিব জোহরা ও শিক্ষার্থী আল ঐষি বলেন, গত ১৮ নভেম্বর ব্রাকসু নির্বাচনের তফশিল ঘোষণার পর ২৯ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারিত হয়। পরবর্তীতে পুনর্বিবেচনার মাধ্যমে ভোটের তারিখ এগিয়ে এনে ২৪ ডিসেম্বর নির্ধারণ করা হয়। পরে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পর থেকেই নির্বাচন কমিশন নাটকীয়তা শুরু হয়, পর পর দুজন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের আকস্মিক পদত্যাগ দিয়ে। এরপর আচরণবিধি প্রণয়ন, চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ এবং মনোনয়ন ফরম বিতরণের মধ্য দিয়ে ক্যাম্পাস নির্বাচনি আমেজে মুখর হয়ে ওঠে।
কিন্তু মনোনয়নপত্র উত্তোলনের শেষ মুহূর্তে নির্বাচন কমিশনের ওপর ব্রাকসু-বিরোধী একটি গোষ্ঠীর নির্বাচন বিলম্বে করার জন্য চাপের কারণে নির্বাচন কমিশন ভোটার তালিকায় অসঙ্গতি দেখিয়ে নির্বাচন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে। এটি একটি ষড়যন্ত্র বলে তারা দাবি করেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রশাসন ও কমিশনের উদাসীনতা, দায়িত্বহীনতা ও সময়ক্ষেপণেই নির্বাচন অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। শিক্ষার্থীদের আবেগ নিয়ে টালবাহানা করা হচ্ছে, আশ্বাস দেওয়া ছাড়া কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেই।
এদিকে নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে শিবিরের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ পুনরায় আন্দোলনে নেমেছে। আবার বিলম্বে নির্বাচন অনুষ্ঠনের দাবিতে ছাত্রদলের নেতৃত্বে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অপর অংশটি ব্রাকসু নির্বাচন পেছানোর দাবি জানিয়ে আন্দোলন করছে।
এ পরিস্থিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস অশান্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, ক্যাম্পাসে যেভাবে দুটি পক্ষ নির্বাচন নিয়ে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে তাতে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ আছে বলে মনে হয় না।
সংবাদ সম্মেলন থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনকে হুমকি দিয়ে বলা হয়, ঘোষিত তারিখে অনুষ্ঠান না হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনের মধ্য দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে বাধ্য করবেন।
