Logo
Logo
×

সারাদেশ

ববি উপাচার্যের দপ্তরকে মূলা উপহার

Icon

বরিশাল ব্যুরো

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:১৬ পিএম

ববি উপাচার্যের দপ্তরকে মূলা উপহার

বিভিন্ন সংকটে ‘স্থবির’ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উন্নয়নে শিক্ষার্থীদের একের পর এক প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা বাস্তবায়ন না করার অভিযোগে উপাচার্যের দপ্তরকে মূলা উপহার দিয়েছেন একদল শিক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে এই প্রতিবাদী কর্মসূচি পালন করেছেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ববি শাখার নেতাকর্মীরা।

এ সময় কক্ষে দায়িত্বরত ব্যক্তিকে শিক্ষার্থীদের দেওয়া মূলা উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলমের কাছে পৌঁছে দিতে আহ্বান জানানো হয়। এছাড়াও সামগ্রিক উন্নয়নে ববির যেসব দপ্তর অসহযোগিতা করছে তাদেরও এই মূলা সরবরাহ করা হবে বলে জানান তারা।

এ সময় ছাত্রসংসদ নির্বাচন ও সমাবর্তন সম্পন্ন নিয়ে অনিশ্চয়তা, খেলার মাঠ না থাকা, জুলাই স্মৃতিস্তম্ভের ভিত্তিপ্রস্তরের পর অনাগ্রগতি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন না হওয়া, তাড়াহুড়ো করে শিক্ষকদের পদোন্নতি, নিয়োগ দিয়ে বেতন দিতে না পারা, কর্মচারীদের বেতন বন্ধের প্রতিবাদ জানান তারা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ ববি শাখার সভাপতি হাসিবুল হোসেন, সহ-সভাপতি আবু সালেহ মো. হাসিবুল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ মাসুম বিল্লাহ প্রমুখ।

ববি শাখার সভাপতি হাসিবুল হোসেন বলেন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে অনুষ্ঠিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ববি প্রশাসন; কিন্তু খসড়া গঠনতন্ত্র সিন্ডিকেটে পাশ করাতেই সময় লেগেছে ২ মাস। সেই খসড়া গঠনতন্ত্র মাত্র ইউজিসিতে পাঠানো হয়েছে। অন্যান্য কার্যক্রম শেষে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। প্রথম সমাবর্তনের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে সম্ভাব্য জাতীয় নির্বাচনের কয়েক দিন আগে। এমন সময় সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে কিনা তা পুরোপুরি অনিশ্চিত। প্রধান খেলার মাঠের সংস্কার কাজ ছয় মাসেও শেষ হয়নি।

তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশনে বসলে উপাচার্য আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দ্রুত সময়ে অবকাঠামোগত উন্নয়নের কার্যক্রমের দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এরপর ভূমি অধিগ্রহণ, মাস্টারপ্লানসহ বিভিন্ন কথা বলে আমাদের বারবার মূলা দেখানো হয়েছে। দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জুলাই স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনের নামে শিক্ষার্থীদের সান্ত্বনা দিয়েছে, কারণ এরপর এ বিষয়ে আর কোনো অগ্রগতি নেই ববির। ববির প্রধান গেটের সড়ক দীর্ঘদিন ধরে বেহাল থাকলেও তা সংস্কারের কথা বলেও তা করছে না ববি প্রশাসন।

হাসিবুল হোসেন বলেন, এছাড়া ইউজিসির আপত্তি সত্ত্বেও শিক্ষকদের পদোন্নতি ও নিয়োগ দেওয়ায় তাদের বেতন আটকে আছে। অন্যদিকে কর্মচারীরাও বেতন পাচ্ছে না। এই দুরবস্থার মধ্যে ববি স্থবির হয়ে পরে আছে। এখানে শিক্ষার্থীদের একের পর এক দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে উপাচার্যের কোনো পদক্ষেপ দেখতে পারছি না।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে ববি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তৌফিক আলম এবং প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. রাহাত হোসাইন ফয়সালের মোবাইল ফোনে কল দিলেও তাদের পাওয়া যায়নি।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম