গ্যাস সিলিন্ডারের ভয়াবহ আগুনে দগ্ধ ১৫
ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:২৩ পিএম
ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের টুকচাঁনপুর চরপাড়ায় গ্যাস সিলিন্ডার থেকে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে শিশুসহ ১৫ জন দগ্ধ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় লুন্দিয়া চরপাড়া মেঘনা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে দ্রুত ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতর দগ্ধ ১২ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠিয়ে দেন। তিনজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, সন্ধ্যায় খাবার বিক্রি শেষে দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যান দোকানি জহির মিয়া। তবে তিনি ভুলবশত গ্যাস সিলিন্ডারের রেগুলেটরের সুইচ বন্ধ না করেই দোকান তালাবদ্ধ করেন। দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ দোকানে গ্যাস ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে সেখানে আগুন লেগে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনার সময় দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা কয়েকজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও পথচারী আগুনে দগ্ধ হন। স্থানীয়রা দ্রুত এগিয়ে এসে তাদের শরীরের আগুন নেভায় এবং হাসপাতালে পৌঁছে দেন।
দগ্ধরা হলেন—হারুন মিয়া (৪০), সোহাগ মিয়া (১০), ওয়াসিবুল (১০), সামিউল (৯), আল আমিন (৮), শুভ (৮), নিরব (১৫), রাহাত (১২), ফাহিম (১০), আমিন (১০), হেকিম মিয়া (৫৫), সেরাজুল (১০), ছিদ্দিক মিয়া (৫৮), মোর্শিদ মিয়া (৫৫) ও নাছির মিয়া (৪০)।
এদের মধ্যে হারুন মিয়ার শরীরের প্রায় ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে এবং তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
প্রত্যক্ষদর্শী শফিকুল ইসলাম বলেন, দোকান থেকে কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ রাস্তার দিকে আগুন ছুটে আসতে দেখে ভয় পাই। পরে দেখি কয়েকজন আগুনে পুড়ে গেছে। পরে জানতে পারি গ্যাস সিলিন্ডারের কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। আমরা দ্রুত সবাইকে হাসপাতালে পাঠাই।
ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. কিশোর কুমার ধর বলেন, ১৫ জন দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে আসে। তাদের মধ্যে ১২ জনের অবস্থা গুরুতর। একজনের ৮০% এবং বাকিদের ২০-৩০% দগ্ধ হয়েছে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিতে না পারায় তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকি তিনজনকে চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।

-6932b3664f731.jpg)