ছাত্রদল নেতা হত্যা মামলার দুই আসামি ভারতে আটক, পতাকা বৈঠকে ফেরত
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:০৭ পিএম
প্রতীকী ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রদলের সাবেক নেতা সাদ্দাম হোসেনকে (৩৫) গুলি করে হত্যার ঘটনায় ভারতে পালিয়ে যাওয়া দুই আসামিকে আটক করে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের ফেরত দিয়েছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিকালে কসবা থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ ঘটনায় বিজিবি বাদী হয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের দায়ে পাসপোর্ট আইনে মামলা দায়ের করেছে।
গ্রেফতাররা হলেন- সদর উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও শহরের কান্দিপাড়া এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে শাকিল মিয়া (৩৩), অন্যজন শহরের মধ্যপাড়া এলাকার আলমগীর হোসেনের ছেলে মো. আরিয়ান আহমেদ (২৪)।
বিজিবি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রদলের সাবেক নেতা সাদ্দামকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় শাকিল মিয়া ও আরিয়ান আহমেদ ভারতে পালিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার বিএসএফ তাদের আটক করে।
শুক্রবার দুপুরে কসবা সীমান্তের ২০৩৯ পিলার এলাকায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফ তাদের বিজিবির হাতে তুলে দেয়। বিজিবি শুক্রবার বিকালে কসবা থানা পুলিশের কাছে তাদের সোপর্দ করে। এ ঘটনায় বিজিবির কসবা ক্যাম্প কমান্ডার সুবেদার নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে পাসপোর্ট আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
কসবা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন দাস বলেন, গ্রেফতার শাকিল মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আলোচিত সাদ্দাম হত্যা মামলার আসামি। ভারতে পালিয়ে গেলে বিএসএফ শাকিল ও আরিয়ানকে আটক করে।
উল্লেখ্য, গত ২৮ নভেম্বর গভীর রাতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দেলোয়ার হোসেন ও সদর উপজেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল মিয়ার মধ্যে সংঘর্ষের জেরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কান্দিপাড়ার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে সাদ্দামকে গুলি করে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন ওরফে দিলীপসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। নিহত সাদ্দামের বাবা মোস্তফা কামাল ওরফে মস্তু মিয়া গত ২৮ নভেম্বর সদর থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আরও ৫ থেকে ৭ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এর আগে প্রধান আসামি দেলোয়ার হোসেন দিলীপকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
অন্য আসামিরা হলেন— একই এলাকার বাবুল মিয়া (২৮), তার ভাই শাকিল মিয়া (৩৫), পলাশ মিয়া (৩৫), টিটন মিয়া (৩৪), বাপ্পা মিয়া (২৬) এবং দেলোয়ারের ভাই কাজল মিয়া (৪৫)।
