‘জয়বাংলা’ স্লোগান দিয়ে ধানের শীষের ভোট প্রার্থনা, ভিডিও ভাইরাল
পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:০৭ পিএম
ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
পাবনার ঈশ্বরদীতে ‘জয়বাংলা’ স্লোগান দিয়ে ধানের শীষের ভোট চেয়ে সমালোচনার জন্ম দিয়েছেন সিরাজুল ইসলাম নামে এক শিক্ষক।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার চররূপপুর এলাকায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলে ওই শিক্ষক বক্তব্য দেওয়ার সময় এমন কাণ্ড ঘটান। শিক্ষকের বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা ভাইরাল হয়।
সিরাজুল ইসলাম ঈশ্বরদী উপজেলার লক্ষীকুন্ডা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিদ্যালয়ের তহবিলের টাকা আত্মসাতসহ নানা অনিয়ম আড়াল করতে এক সময় তিনি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সান্নিধ্যে চলতেন। গত বছরের ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। রীতিমতো সভা-সমাবেশ ও মিছিল-মিটিংয়েও যোগদান করে বক্তব্য রাখতে দেখা যাচ্ছে তাকে।
শুক্রবার রাতে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় ওই দোয়া মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য দেওয়ার সময় সিরাজুল ইসলাম বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় না থেকেই যে উন্নয়ন করছে, ক্ষমতায় এলে আরও বেশি উন্নয়ন করতে পারবে। আপনারা সবাই দোয়া করবেন খালেদা জিয়া যেন আবার সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসেন। ধানের শীষের বিজয় অর্জনের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত থাকবে, এই আশা ব্যক্ত করে আমি আমার বক্তব্য শেষ করছি, জয়বাংলা।
এদিকে জয়বাংলা স্লোগান শুনে সেখানে উপস্থিত দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ হেসে ওঠেন। একজন প্রধান শিক্ষকের সরাসরি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ এবং দলীয় ভোট চাওয়া নিয়ে ইতোমধ্যে উপজেলাজুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে লক্ষীকুন্ডা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল বলেন, আমি রাজনীতি করি না, পূর্বেও কখনো করিনি। শিক্ষক হিসাবে রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে গিয়ে একটি দলের পক্ষে বক্তব্য দেওয়া আমার ঠিক হয়নি। আর জয়বাংলা ভুলে বলে ফেলেছি। এজন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঈশ্বরদী উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আজমল হোসেন সুজন। এ বিষয়ে তিনি জানান, স্থানীয় যুবসমাজের উদ্যোগে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছিল। এটি দলীয় আয়োজন ছিল না। সিরাজুল ইসলাম বক্তব্যের শেষে জয় বাংলা বলে ফেলেছেন এবং তাৎক্ষণিক ক্ষমাও চেয়েছেন।
ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, একজন শিক্ষক হিসাবে, সরকারি কর্মচারী হিসাবে রাজনৈতিক কোনো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে বক্তৃতা করার সুযোগ নেই।
