জেলের জালে আটকা পড়ল ১৫ মণ ওজনের হাঙর
কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:১০ পিএম
ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলে জেলের জালে ধরা পড়েছে দানব আকৃতির একটি শাপলা পাতা মাছ। যার ওজন প্রায় ১৫ মণ। বিরল এই জলজ প্রাণীটি তীরে তুলতে একাধিক মানুষের সহায়তা নিতে হয়েছে।
হাঙর প্রজাতির স্টিংরে পরিবারের এই মাছটি বাংলাদেশ বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ সংরক্ষিত। ধরা, কেনা–বেচা বা পরিবহণ—সবই নিষিদ্ধ। তবুও মাছটি ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিকালে সাবরাংয়ের মুন্ডার ডেইল সমুদ্র উপকূলে জেলে আবদুল গফুরের জালে ধরা পড়ে মাছটি।
জেলে আবদুল গফুর বলেন, মাছটা এমন ভারি যে ট্রলারে তোলা যাচ্ছিল না। শেষে রশি দিয়ে বেঁধে জোয়ারের পানির সহায়তায় তীরে টেনে আনতে হয়েছে। জীবনে এত বড় শাপলা পাতা মাছ আর দেখিনি।
টেকনাফ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, এই মাছ গভীর সমুদ্রের। সাধারণত অগভীর জলে আসে না। তাই ধারণা করা হচ্ছে, জোয়ার-ভাটার স্রোতে ভেসে এসে জালে আটকা পড়েছে।
তিনি বলেন, শাপলা পাতা বা পাতা হাঙর একটি সংরক্ষিত প্রজাতি। এটির শিকার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
স্থানীয়রা জানান, মাছটি ঘাটে তোলা মাত্রই সাবরাং মুন্ডার ডেইল এলাকায় মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে।
মেরিন ড্রাইভে ঘুরতে আসা পর্যটকেরাও ছুটে আসেন অদ্ভুতদর্শন মাছটি দেখতে। পরে স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী ছৈয়দ আলম ৫০ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন। তার ভাষায়, মাছটা কাটাকুটি করে চট্টগ্রামে পাঠানো হবে।
এদিকে বাংলাদেশ বন্য প্রাণী আইনের ধারা ৩৮ অনুযায়ী, সংরক্ষিত বন্য প্রাণী হত্যা, সংগ্রহ, পরিবহণ বা বিক্রি করলে সর্বোচ্চ ১ বছর কারাদণ্ড অথবা ১ লাখ টাকা জরিমানা, কিংবা উভয় দণ্ড হতে পারে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের ডিএফও আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, শাপলা পাতা মাছ ধরা নিষিদ্ধ, বিক্রিও নিষিদ্ধ। ঘটনাটি সম্পর্কে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে জানি না— তবে দ্রুত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। কে মাছটি কিনেছে, কোথায় নেওয়া হয়েছে— সব খতিয়ে দেখা হবে।
