নিজ নির্বাচনি এলাকায় তোপের মুখে ব্যারিস্টার ফুয়াদ
বরিশাল ব্যুরো
প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৪৭ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
বরিশালের বাবুগঞ্জে নিজ নির্বাচনি এলাকায় তোপের মুখে পড়েছেন এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ। রোববার বাবুগঞ্জের মীরগঞ্জ সেতু নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জন্য বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের দায়ী করেছেন তিনি।
অভিযোগ অস্বীকার করে বিক্ষুব্ধ জনতা এ ঘটনা ঘটিয়েছে এবং বিতর্কিত বক্তব্যের জন্য ক্ষমা না চাইলে ফুয়াদকে বাবুগঞ্জে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে বলে জানান উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আতিক আল আমিন।
রোববার বাবুগঞ্জের মীরগঞ্জ সেতু নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে আসেন ব্যারিস্টার ফুয়াদ। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুই উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন ওই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
ফুয়াদের নির্বাচনি এলাকা বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনের আড়িয়াল খাঁ নদের উপর নির্মিত হচ্ছে ওই সেতু। প্রায় ১ হাজার ৫শ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মীয়মান সেতুর প্রকল্প পাশ প্রশ্নে নিজের চেষ্টা লবিংয়ের প্রচার করে আসছিলেন ব্যারিস্টার ফুয়াদ। এ নিয়ে বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঠাণ্ডা বিরোধ চলছিল তার।
বিএনপির দাবি, তাদের সাবেক এমপি এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের চেষ্টায় এই সেতু নির্মিত হচ্ছে।
রোববার সকালে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে গিয়ে নির্মীয়মান সেতুকেন্দ্রিক চাঁদা ও টেন্ডারবাজির চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেন ফুয়াদ। কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ফুয়াদ বলেন, ‘বহু কষ্ট করে এই সেতু প্রকল্প পাশ করিয়েছি। এখন যদি এখানে চাঁদা দাবি টেন্ডারবাজির ঘটনা ঘটে তাহলে সেতুটি আর নির্মিত হবে না।’
বক্তব্যে কোনো দলের নাম উল্লেখ না করলেও তাৎক্ষণিক ক্ষোভে ফেটে পড়েন সেখানে থাকা বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তারা ফুয়াদকে বক্তব্য প্রত্যাহারের জন্য বলেন।
একপর্যায়ে ফুয়াদ ও তার সঙ্গে থাকা লোকজনকে সেখান থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়াসহ তার বিরুদ্ধে নানান স্লোগান দেওয়া হয়।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, আমি তো কারো নাম বা দল উল্লেখ করিনি। তারপরও কেন বিএনপির লোকজন আমার ওপর এ হামলা চালাল? আমি তো শুধু চাঁদা আর টেন্ডারবাজির বিরুদ্ধে বলেছি।
পুরো ঘটনার জন্য এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া দলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিনের কর্মীদের দায়ী করেন তিনি।
ফুয়াদের এ অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে বাবুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আতিক আল আমিন বলেন, তিনি (ফুয়াদ) বিএনপিকে ইঙ্গিত করে মিথ্যাচার করেছেন। তাছাড়া এই সেতু নির্মাণে তার কোনো অবদান না থাকা সত্ত্বেও বারবার তিনি একই কথা বলে যাচ্ছেন। এই সেতু নির্মাণে প্রথম উদ্যোগ নিয়েছিলেন এখানকার বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি বাবুগঞ্জের সাধারণ মানুষকে অপমান করেছেন। বিতর্কিত এই বক্তব্যের জন্য তাকে ক্ষমা চাইতে হবে। নইলে বাবুগঞ্জে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে।
