Logo
Logo
×

সারাদেশ

জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে ঘাটে আদায় করা টাকা লুটের অভিযোগ

Icon

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:০৮ পিএম

জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে ঘাটে আদায় করা টাকা লুটের অভিযোগ

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের চরলেংটা খেয়াঘাট

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহী ইউনিয়নের চরলেংটা খেয়াঘাটের সরকারি খাস আদায়ে বাধা, হামলা ও উত্তোলনের টাকা লুটের অভিযোগ উঠেছে জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে।

এ সময় সরকারি খাস আদায়ের দায়িত্বে থাকা কর্মচারীদের মারধর করা ও ঘাট ত্যাগ করে চলে যাওয়ার জন্য সন্ত্রাসী কায়দায় নির্দেশ দেওয়া হয়।

চরএলাহী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর আমির মাহবুবুল হক ও কর্মী হেলালের নেতৃত্বে কয়েকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে রোববার দুপুর পর্যন্ত সরকারি খাস আদায় করতে পারছে না স্থানীয় তহসিল অফিস। এতে সরকার রাজস্ব আদায় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

চরফকিরা ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (তহসিলদার) সেলিম চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলমান রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, চরএলাহী ইউনিয়নের চরলেংটা খেয়াঘাটের বিরুদ্ধে আদালতে রিট পিটিশন রয়েছে। এরই কারণে ঘাটটি ইজারা না দেওয়ায় উক্ত ঘাটটি গত ২১ আগস্টে ১০০০ নম্বর স্মারকে সরকারি খাস আদায়ের জন্য তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে নির্দেশ দেন। ওই ঘাটে সরকারি খাসের টাকা আদায়ের জন্য ভূমি অফিস নিযুক্ত কেরানী জোবায়ের হোসেন সৌরভসহ দুজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় সরকারি খাস আদায়ের টাকার হিসাব করার সময় জামায়াত নেতা মাহবুবুল হক ও হেলালের নেতৃত্বে কয়েকজন কেরানীদের ওপর হামলা করে। এ সময় সরকারি খাসের আদায়কৃত ১২-১৩ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। হামলাকারী জামায়াতের লোকজন এ ঘাটে কোনো টাকা উত্তোলন না করে এখান থেকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন তাদের।

অভিযুক্ত জামায়াত নেতা মাহবুবুল হক ও হেলাল জানান, তারা ঘাটের ইজারা নিয়েছেন; কিন্তু চরএলাহী ইউনিয়নের চরলেংটা খেয়াঘাটের ইজারা নেওয়ার কোনো কাগজপত্র তারা দেখাতে পারেননি।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুবাইয়া বিনতে কাশেম জানান, চরএলাহী ইউনিয়নের চরলেংটা খেয়াঘাটের বিষয়টি চরফকিরা ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা সেলিম চৌধুরী আমাকে জানিয়েছেন। আমি তাকে লিখিতভাবে জানানোর জন্য বলেছি। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম