Logo
Logo
×

সারাদেশ

দরজা ভেঙে বিছানা থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার

Icon

বগুড়া ব্যুরো

প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৫০ পিএম

দরজা ভেঙে বিছানা থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার

বগুড়ায় ঘরের দরজা ভেঙে সাবিকুন নাহার (৪৩) নামে এক দর্জির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সদর থানা পুলিশ শনিবার রাত ১১টার দিকে শহরের জামিলনগর এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।

সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মাহফুজ আলম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা- ওই নারী অসুখে মারা গেছেন। এরপরও মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হতে মরদেহ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসীরা জানান, পর্দানশীন সাবিকুন নাহার চট্টগ্রাম পোর্ট এলাকার হোন্দালপাড়ার গোলাম সবানীর মেয়ে। তিনি নয় মাস আগে বগুড়া শহরের জামিলনগর এলাকায় শাহজাহানের বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। তিনি বিভিন্ন ধরনের দর্জির কাজ করতেন। শনিবার বিকালের পর তিনি বাড়ির ঘরে অবস্থান করলেও কারো ফোন ধরেননি। রাত ৯টার দিকে দরজায় ডাকাডাকি করে তার কোনো সাড়া মেলেনি। পরে জানালা দিয়ে বিছানায় মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরপর সদর থানা পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

বাড়ির মালিক শাহজাহান মিয়া জানান, নয় মাস আগে সাবিকুন নাহার এক ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে এসে নিজেদের স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দেন। এরপর দুই হাজার টাকায় দুই কক্ষের বাড়ি ভাড়া নেন। স্বামী পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তির বাড়ি বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার রানীরহাট এলাকায়। তবে তিনি তার নাম জানেন না। ওই ব্যক্তি মাঝে মাঝে জামিলনগরের ওই বাসায় এসে ওই নারীর সঙ্গে রাতে থাকতেন।

তিনি আরও জানান, এক সপ্তাহ আগে তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। এরপর থেকে সাবিকুন নাহার একাই বাড়িতে থাকতেন। শনিবার রাত ৯টার পর স্বামী পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তিকে ফোন করে সাবিকুন নাহারের মৃত্যু সংবাদ দিলে তিনি ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, বিছানায় ওই নারীর মরদেহ পড়ে আছে। মাক্স দিয়ে তার মুখ ঢাকা। বিছানায় দুই প্যাকেট খাবার ও কিছু ওষুধ ছড়ানো ছিটানো ছিল। ঘরের অন্যান্য জিনিসপত্র স্বাভাবিক ছিল।

বগুড়া সদর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মাহফুজ আলম জানান, মৃত ওই নারীর শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। বিছানায় ডায়াবেটিসের কিছু ওষুধ পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই নারীর স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। এরপরও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। আপাতত সদর থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম