সিদ্দিক হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন
গাজীপুর ও টঙ্গী পূর্ব প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৪১ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) টঙ্গী পূর্ব থানা এলাকায় মো. সিদ্দিকুর রহমান হত্যার রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত ছিনতাইকারী ইমরানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) ভোরে ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে নিহত হন মো. সিদ্দিকুর রহমান (৫৬)।
জিএমপি টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশের সহায়তায় র্যাব-১ এর একটি যৌথ দল রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকাল সোয়া ৫টায় কুখ্যাত মাদকস্পট হিসেবে পরিচিত মাজার বস্তি থেকে তাকে আটক করে।
গ্রেফতার ইমরান (৩০) গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ীর কড্ডা কালাকুর এলাকার ইউনুস তালুকদার ও ময়না বেগমের ছেলে।
এ ব্যাপারে রোববার রাতে র্যাব-১ অধিনায়ক লে. কর্নেল আশিকুর রহমান র্যাব-১, উত্তরা কার্যালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন।
নিহত সিদ্দিকুর রহমান পেশায় বিদ্যুৎ ট্রান্সমিটারের স্টোরকিপার ছিলেন এবং টঙ্গী পূর্ব থানাধীন মধুমিতা রোডের বাসিন্দা।
প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, শনিবার সকালে কর্মস্থল ঢাকার কেরানীগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হন সিদ্দিকুর রহমান। টঙ্গী পূর্ব থানাধীন বন্ধন কমিউনিটি সেন্টারের সামনের ফ্লাইওভারের উপরে অভিযুক্ত ছিনতাইকারী ইমরান ভিকটিম সিদ্দিকুর রহমানের পথরোধ করে তার কাছ থেকে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। বাধা দিতে গেলে উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে আসামি ইমরান তার সঙ্গে থাকা ছুরি দিয়ে সিদ্দিকের বাম হাতের উপরে অংশে তিনটি আঘাত করে।
মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে পালানোর সময়, ছুরিকাঘাতের ফলে ছিটকে পড়া রক্ত ইমরানের জুতায় লেগে যায়। আসামি দ্রুত সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় তার ছুরি এবং রক্তমাখা জুতো জোড়া ঘটনাস্থলের সিঁড়িতে ফেলেই টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন মাজার বস্তিতে আশ্রয় নেয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে ভিকটিম সিদ্দিক ঘটনাস্থলের নিচে সিঁড়ির কাছেই মারা যান।
ঘটনার পরপরই টঙ্গী পূর্ব থানার এসআই এসএম মেহেদী হাসান ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভিকটিমের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করেন। পরবর্তীতে টঙ্গী পূর্ব থানা এবং র্যাব-১ এর একটি যৌথ তদন্ত টিম ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এবং ফেলে যাওয়া আলামত (ছুরি ও জুতা) পর্যালোচনা করে ঘাতক ছিনতাইকারী ইমরানকে শনাক্ত করেন।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকাল সোয়া ৫টার দিকে যৌথ অভিযান চালিয়ে মাদক স্পট হিসেবে পরিচিত মাজার বস্তি থেকে আসামি ইমরানকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধারকৃত আলামতের মধ্যে রয়েছে ছিনতাইকারীর ব্যবহৃত ছুরি ১টি এবং আসামির ১ জোড়া জুতা। বর্তমানে আসামি ইমরান র্যাব-১ এর হেফাজতে রয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ প্রক্রিয়া চলছে।
