সিরাজদিখানে খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল
সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৫১ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের লতব্দীতে বিএনপির চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও সুস্বাস্থ্য কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলার রামকৃষ্ণদী মিয়ার হোসেন উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে লতব্দী ১নং ওয়ার্ড বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এতে দলটির বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে সিরাজদিখান উপজেলা শ্রমিক দল সাধারণ সম্পাদক মো. বাদশা মিয়ার সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন লতব্দী ১নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি মো. বশির উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুন্সীগঞ্জ-১ আসনের বিএনপির মনোনয়নপাপ্ত ও সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সভাপতি শেখ মো. আব্দুল্লাহ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ মো. আব্দুল্লাহ বলেন, যখন সারা পৃথিবী বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল, তখন বেগম খালেদা জিয়া একাই দেশের হাল ধরেছিলেন। তিনি এ জাতির দুঃসময়ের ভরসা ছিলেন। অন্যায়ের কাছে তিনি কখনো মাথা নত করেননি, রাষ্ট্রক্ষমতার স্বার্থে কোনো আপস করেননি। আজ তিনি হাসপাতালের বেডে শারীরিক যন্ত্রণায় দিন কাটাচ্ছেন- এ দৃশ্য সমগ্র জাতির জন্য বেদনার। আমরা মহান আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করছি, তিনি যেন এই আপসহীন নেত্রীকে সুস্থতা দান করেন এবং তার নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথ আবার উন্মুক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- সিরাজদিখান উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম হায়দার আলী, লতব্দী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব ওসমান গনি, মুন্সীগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক ছিদ্দিক মোল্লা, সিরাজদিখান উপজেলা শ্রমিক দল সভাপতি শেখ নজরুল ইসলাম, সিরাজদিখান উপজেলা শ্রমিক দল সাধারণ সম্পাদক মো. বাদশা মিয়া, সিরাজদিখান উপজেলা শ্রমিক দল ১ম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবু হোসেন, সিরাজদিখান উপজেলা শ্রমিক দল সহ-সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ শেখ, লতব্দী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আনুরোজ্জামান খান, লতব্দী ইউনিয়ন কৃষক দল সাধারণ সম্পাদক আলীম খান, রাজীব বেপারী, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্যপরিষদ সভাপতি বিমল দাস, সাবেক ইউপি সদস্য শাহ আলী, বিএনপি নেত্রী পূজা মল্লিক।
বক্তারা বলেন, বেগম খালেদা জিয়া শুধু একজন রাজনীতিবিদ নন, তিনি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ইতিহাসের জীবন্ত প্রতীক।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের শতাধিক নেতাকর্মী।
