বাউল শিল্পী আবুল সরকারের জামিন নামঞ্জুর
যুগান্তর প্রতিবেদন, মানিকগঞ্জ
প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৩৩ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মানিকগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সোমবার দুপুরে বিতর্কিত বাউল শিল্পী আবুল সরকারের জামিন শুনানি হয়। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এসকেএম তোফায়েল হাসান তার জামিন নামঞ্জুর করেন।
আদালতে আবুল সরকারের অনুপস্থিতিতে তার পক্ষে ১৫-১৬ জন আইনজীবী ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সরকারি কৌঁসুলি নূরতাজ আলম বাহার জামিন শুনানিতে অংশ নেন।
জামিন নামঞ্জুর হওয়ার পর বেশ কিছু আইনজীবী আবুল সরকারের শাস্তির দাবিতে আদালত চত্বরে মিছিল করেন।
এর আগে ১৯ নভেম্বর বাউল শিল্পী আবুল সরকারকে ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে অবমাননাকর ও কুরুচি বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে কারান্তরীণ রয়েছেন।
বাউল শিল্পী আবুল সরকারের আইনজীবী জিন্নত আলী বলেন, গত ২৩ নভেম্বর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রথম জামিন শুনানি হয়। ওই জামিন শুনানি শেষে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করেন। পরে ফৌজদারি বিধি মোতাবেক জেলা ও দায়দা জজ আদালতে জামিনের জন্য আবেদন করা হয়।
সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বাউল শিল্পী আবুল সরকারের জামিন শুনানি হয়। এতে আসামিপক্ষে জামিন শুনানিতে অংশ নেন- হাইকোর্টের আইনজীবী শহিদুল ইসলাম, জহির আহমেদ, মো. সফিক উদ্দিন, মানিকগঞ্জ জজ কোর্টের আইনজীবী জিন্নত আলী, মো. সোরহাব হোসেন, মহীউদ্দিন স্বপন, কামরুল হাসান খোকন, হেলাল উদ্দিন আহমেদ, ফাতে ইবনে ঝন্টুসহ ১৫ থেকে ১৬ জন।
অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে জামিন শুনানিতে অংশ নেন সরকারি কৌঁসুলি নূরতাজ আলম বাহার।
আইনজীবী জিন্নত আলী আরও বলেন, আবুল সরকার আদালতে দোষী প্রমাণিত হলে দেশের প্রচলিত আইনে সবোর্চ্চ শাস্তি হচ্ছে ২ বছরের কারাদণ্ড অথবা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ড দিতে পারেন বিচারক।
উল্লেখ্য, ৪ নভেম্বর মানিকগঞ্জের ঘিওরের জাবরা এলাকায় ‘খালা পাগলির মেলার’ এক পালাগানের আসরে বাউলশিল্পী আবুল সরকার ইসলাম ধর্ম অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।
এরপর ১৯ নভেম্বর রাতে মাদারীপুরে একটি গানের আসর থেকে তাকে আটক করে মানিকগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পর দিন বাদী মুফতি মো. আবদুল্লাহ ঘিওর থানায় মামলা করলে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
