প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে চিকিৎসকের আত্মহত্যা
টেকেরহাট (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৫৯ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
মাদারীপুরের রাজৈরে প্রেমিকাকে মোবাইলে ভিডিও কলে রেখে গলায় দড়ি প্যাঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে অনিক আশ্চর্য (৩৫) নামে এক চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন।
সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার টেকেরহাট বন্দরের শিমুলতলা এলাকার নূরজাহান কমিউনিটি সেন্টারের তৃতীয়তলার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
মৃত অনিক পার্শ্ববর্তী এক নম্বর ব্রিজ এলাকার সিটি হসপিটাল অ্যান্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের জরুরি বিভাগের (ডিএমএফ) চিকিৎসক ছিলেন। তিনি একই উপজেলার বাজিতপুর গ্রামের গ্রাম্য চিকিৎসক অঞ্জন আশ্চর্যের ছেলে।
মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে পুলিশ।
পুলিশ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৮ বছর যাবত জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হিসেবে টেকেরহাট সিটি হসপিটালে কর্মরত ছিলেন অনিক। ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসা দেওয়ার সুবিধার্থে টেকেরহাট নূরজাহান কমিউনিটি সেন্টারের তৃতীয়তলায় ফ্ল্যাটবাসায় ভাড়া থাকতেন তিনি। একই সঙ্গে পাশের রুমে থাকতেন ওই হসপিটালের এক্স-রে অপারেটর নৃপেন।
সোমবার রাতে প্রতিদিনের মতো রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদান শেষে অনিক বাসায় আসেন এবং নৃপেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের গানের অনুষ্ঠানে যান।
এ সময় প্রেমিকার সঙ্গে ঝগড়া করে তাকে মেসেঞ্জারে ভিডিও কলে রেখে ফ্যানের সঙ্গে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেন অনিক। পরে সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নৃপেন এসে চা খাওয়ার জন্য তাকে ডাকতে যান। এ সময় দরজা বন্ধ দেখে ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজার ফাঁকা দিয়ে উঁকি দেন এবং অনিককে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান নৃপেন। তাৎক্ষণিক তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে খবর দেন। এরপর রাজৈর থানায় জানালে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে মরদেহ উদ্ধার করেন এবং মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।
সিটি হসপিটালের মালিকপক্ষ আনিসুর রহমান বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৮ থেকে ১০ বছর যাবত কাজ করতেন অনিক। প্রেমের সম্পর্কে জড়িত ছিল। সোমবার রাতে ওই প্রেমিকার সঙ্গে ঝগড়ার জেরে তাকে ভিডিও কলে রেখেই আত্মহত্যা করেছে।
রাজৈর থানার ওসি শেখ আমিনুল ইসলাম জানান, মরদেহটি উদ্ধার করে মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রেমঘটিত কারণে মোবাইলে ভিডিও কলে রেখে আত্মহত্যা করেছে। তবে কেউ বলছে কথিত স্ত্রী আবার কেউ বলছে প্রেমিকা। এ ঘটনায় একটা অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
