Logo
Logo
×

সারাদেশ

সেই নবজাতক পেল নতুন ঠিকানা

Icon

টেকেরহাট (মাদারীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:১৮ পিএম

সেই নবজাতক পেল নতুন ঠিকানা

মাদারীপুরে ক্লিনিকের ভেতর থেকে উদ্ধার হওয়া নবজাতক খুঁজে পেল নতুন ঠিকানা। ঠাঁই হয়েছে সিঙ্গাপুর প্রবাসীর ঘরে। ৩৫টি আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে সাড়ে তিন লাখ টাকা বন্ডে নিঃসন্তান দম্পতির হাতে তুলে দেওয়া হয় শিশুকে। খুশি দত্তক নেওয়া বাবা-মাও।

আদালতের সিদ্ধান্তে দুই মাস পরপর শিশুটির শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়ে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা জানিয়েছে সমাজসেবা অধিদপ্তর।

জানা যায়, গত ২ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে শহরের লেকের দক্ষিণপাড়ের বাবু চৌধুরী জেনারেল হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা কর্মী সাথী বেগম বাথরুমের ভেতর রক্তাক্ত অবস্থায় এক নবজাতককে দেখতে পান। পরে শিশুটিকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে। থানায় সাধারণ ডায়েরি করে সমাজসেবা অধিদপ্তর। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শিশুটিকে দত্তক নিতে ভিড় করেন অনেকেই। নবজাতককে দত্তক নিতে মাদারীপুর শিশু আদালতে আবেদন পড়ে একে-একে ৩৫টি।

সোমবার দিনব্যাপী চলে শুনানি। পরে যাচাই-বাছাই শেষে সিঙ্গাপুর প্রবাসী নাদিম আকন ও সাদিয়া আক্তার দম্পতিকে দত্তক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন আদালতের বিচারক রিফাত মোল্লা। সাড়ে তিন লাখ টাকা বন্ডসহ ৫টি শর্ত দেওয়া হয় তাদের। পরে মঙ্গলবার বিকালে নতুন মা-বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয় শিশুটিকে।

শহরের পাঠককান্দি এলাকায় বসবাস সাদিয়া আক্তার ও নাদিম আকন দম্পতির। নবজাতককে দত্তক নিতে পেরে খুশিতে আত্মহারা তারা।

শিশুকে দত্তক নেওয়া সিঙ্গাপুর প্রবাসী নাদিম আকন বলেন, আমি শিশুটিকে দত্তক নেওয়ার জন্য সিঙ্গাপুর থেকে ছুটে এসেছি। আমি মেয়েটিকে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলব। কোথাও কোনো কমতি রাখব না।

সাদিয়া আক্তার বলেন, এই শিশুটি এখন থেকে আমাদের সন্তান। মায়ের আদর দিয়ে ওকে মানুষ করব। কোনো কষ্ট-দুঃখ হতে দেব না। সুখে-শান্তিতে আমাদের পরিবারে থাকবে সে।

মাদারীপুর সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রবেশন অফিসার শেখ নাহিয়ান ওয়াহিদ জানান, আদালত যোগ্য মনে করে এই দম্পতির কাছে শিশুটিকে দত্তক দিয়েছেন। শিশুটির খোঁজখবর নিয়ে দুই মাস পরপর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন। সমাজসেবা অধিদপ্তর এ বিষয়ে নিয়মিত তদারকি করবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম