Logo
Logo
×

সারাদেশ

পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টা

Icon

শরীয়তপুর প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৫৭ পিএম

পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টা

প্রতীকী ছবি।

শরীয়তপুরে পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে বখাটেদের শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছেন এক শিক্ষার্থী। এ সময় তার সঙ্গে থাকা আরেক সহপাঠীকে আটকে রেখে মারধর করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শরীয়তপুর শহরের বনবিভাগের কার্যালয়ের পাশে এ ঘটনা ঘটে। 

বর্তমানে ওই শিক্ষার্থীকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তিনি শরীয়তপুর সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী। মঙ্গলবার বিকালে পরীক্ষা শেষে তার ছেলে বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে মনহর বাজার মাটি হাড়ির রেস্তোরাঁ থেকে খাওয়া শেষে গাড়ির অপেক্ষায় হাঁটতে হাঁটতে বনবিভাগের কাছে আসে। এ সময় বখাটেরা কলেজ ছাত্র সজিব আহম্মেদের গতিরোধ করে। এক পর্যায়ে তাদের বনবিভাগের মধ্যে নিয়ে ওই ছেলে শিক্ষার্থীকে মারধর করে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। এরপর ৮ থেকে ১০ জন বখাটে যুবক ওই ছাত্রীর অভিভাবকের কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করলে দীর্ঘ ২ ঘণ্টা আটকে শ্লীলতাহানিসহ ধর্ষণের চেষ্টা করে। ছাত্রী নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তাকে নির্যাতনসহ মারধরও করে।

এ সময় স্থানীয় দুই যুবক পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রী তাদের কাছে গিয়ে বিষয়টি খুলে বললে তারা পালং মডেল থানায় অবহিত করে। থানা পুলিশ ঘটনাস্তালে গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে  শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

ছাত্রীর সঙ্গে থাকা ওই ছেলে শিক্ষার্থী বলেন, প্রথমে দুই বখাটে এসে আমাকে নাম জিজ্ঞাস করে এবং বলে বাড়ি কোথায়। আলাদাভাবে কলেজ ছাত্রীকে বিভিন্ন জিজ্ঞাসবাদ করে। এরপর আমাকে মারধর করে। আমাকেসহ দুজনকে জোরপূর্বক বনবিভাগে নিয়ে যায়। আর আমার ওই বান্ধবীকে জোর করে একটি ঝোপের দিকে টেনে নিয়ে যায়। কমপক্ষে ২ ঘণ্টা আমাদের আটকে রাখে এবং ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে ৮ থেকে ১০ জন বখাটে শ্লীলতাহানীসহ ধর্ষণের চেষ্টা করে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, বনবিভাগের সামনে থেকে আমাকে ও আমার বন্ধুকে কমপক্ষে ১০ জন টেনে-হিঁচড়ে ভেতরে নিয়ে যায়। আমাকে নির্যাতনসহ মারধর করে এবং জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। বাঁচার জন্য আর্তচিৎকার করি। এ সময় বনবিভাগের ভেতরে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ছিলেন। পাশে দুই নারী ছিল। তবুও তারা আমাদেরকে উদ্ধার করতে আসেনি। 

শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক খন্দকার রাশেদ আহম্মেদ বলেন, মেয়েটি আমাদের কাছে জানিয়েছে তাকে শারীরিকভাবে মারধর ও যৌন নিপীড়ন করা হয়েছিল। আমাদের নারী চিকিৎসক আসার পর তার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। ধর্ষণের কোন আলামত পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে পালং মডেল থানার ওসি শাহ আলম বলেন, মেয়েটি রাতে শরীয়তপুর সরকারি  কলেজের শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচয় দিয়েছে। সকালে বলছে অন্য কথা। আসলে সে শরীয়তপুর সরকারি কলেজের ছাত্রী না। তার বাড়ির ঠিকানা ভুল দিয়েছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি এবং অপরাধীদের গ্রেফতারের চেষ্ট করছি।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম