র‌্যাব-১২ বগুড়া কোম্পানির সদস্যরা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নিষিদ্ধ পলিথিন মজুতের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছেন। বুধবার সকালে শহরের কালিতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বেনামি গুদাম থেকে ২৬ হাজার কেজি (২৬ মেট্রিক টন) অবৈধ পলিথিন জব্দ করা হয়েছে।

এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে গুদামের ম্যানেজারকে দুই লাখ টাকা জরিমানা ও দুই কর্মচারীসহ তিনজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।

বিকালে র‌্যাব-১২ কোম্পানি কমান্ডার ফিরোজ আহমেদ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য দিয়েছেন।

কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বগুড়া শহরের আটাপাড়া এলাকার মৃত দুদু মণ্ডলের ছেলে মো. হেলালুজ্জামান (৪৫), শহরের নাটাইপাড়ার মৃত জাবেদ আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪০) ও গোকুল এলাকায় মো. বাদলের ছেলে মো. জাকারিয়া (২২)।

র‌্যাব-১২ বগুড়া সূত্র জানায়, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গোপনে খবর পেয়ে শহরের কালিতলা এলাকায় ঝর্ণা হোমিও হলের পূর্বপাশে ওই গুদামে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে গুদাম ও একটি ট্রাকে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ পলিথিন পাওয়া যায়। যার মোট ওজন ২৬ মেট্রিক টন। বাজার মূল্য ৫২ লাখ টাকা।

এ সময় গুদামের ম্যানেজার হেলালুজ্জামানসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

পরিবেশ অধিদপ্তর বগুড়া জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক মাহমুদুল হাসান অভিযানে উপস্থিত ছিলেন।

পরে বগুড়া জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। তিনি অবৈধভাবে পলিথিন মজুত ও বিক্রির দায়ে গুদামের ম্যানেজার মো. হেলালুজ্জামানকে দুই লাখ টাকা জরিমানা ও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। অর্থদণ্ড অনাদায়ে তাকে আরও ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এছাড়া তার সহযোগী রফিকুল ইসলামকে এক মাস ও মো. জাকারিয়াকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রশিদুল ইসলাম জানান, এটি একটি সংঘবদ্ধ চক্রের কাজ। এ প্রতিষ্ঠানে ডিবি পুলিশ এর আগেও অভিযান চালিয়ে প্রায় ১২ মেট্রিক টন পলিথিন জব্দ করেছিল। আমরা জানতে পারি আমিনুর ইসলাম সাবু নামে এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে এখানে নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবসা করে আসছেন। তবে তাকে না পাওয়ায় ম্যানেজার হেলালুজ্জামান ও দুই সহযোগীকে অর্থদণ্ড ও বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, জব্দ করা ৫২ লাখ টাকা মূল্যের ২৬ মেট্রিক টন পলিথিন ধ্বংসের জন্য বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।