চার মামলায় ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রীর জামিন
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:২২ পিএম
সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্না। ফাইল ছবি
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্না চাঞ্চল্যকর চারটি খুনের মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন।
প্রায় আড়াই মাস আগে জামিন পেলেও শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) জামিননামাগুলো চট্টগ্রাম কারাগারে পৌঁছালে বিষয়টি জানাজানি হয়।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার সৈয়দ শাহ শরীফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে ১০টি খুনসহ মোট ১৯টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামে জোড়া খুনসহ আলোচিত হত্যাকাণ্ডের মামলাও রয়েছে। তার স্ত্রী তামান্না শারমিনের বিরুদ্ধেও একাধিক খুনসহ অন্তত আটটি মামলা রয়েছে। সাজ্জাদ বর্তমানে রাজশাহী এবং তামান্না ফেনী জেলা কারাগারে বন্দি রয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, জামিন পাওয়ার পরপরই প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আদালত বা কারাগারে পাঠানো হয়নি। বরং পদে পদে কৌশল অবলম্বন করে বিষয়টি আড়াল রাখার চেষ্টা করা হয় বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট চান্দগাঁও থানার দোকান কর্মচারী শহিদুল ইসলাম হত্যা মামলায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর সাজ্জাদ ও তামান্নাকে জামিন দেন হাইকোর্ট। একই দিন একই বেঞ্চে ১৮ আগস্ট পাঁচলাইশ থানার ওয়াসিম আকরাম হত্যা মামলায় তারাসহ আরও তিনজনকে জামিন দেওয়া হয়। এক সপ্তাহ পর ২২ সেপ্টেম্বর পাঁচলাইশ থানার দোকান কর্মচারী মো. ফারুক হত্যা মামলায় এবং একই দিনে আফতাব উদ্দিন তাহসীন হত্যা মামলাতেও জামিন পান তারা।
চারটি মামলাতেই কোর্ট রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি ইউসুফ আবদুল্লাহ সুমনের দ্বৈত বেঞ্চ তাদের জামিন দেন। যদিও ১৫ ও ২২ সেপ্টেম্বর জামিনের আদেশ দেওয়া হয়, হাইকোর্টের সহকারী রেজিস্ট্রার মো. ইউসুফ আলী যথাক্রমে ১৮ সেপ্টেম্বর ও ৫ অক্টোবর আদেশে স্বাক্ষর করেন। এরপরও সেই জামিননামা চট্টগ্রাম আদালতে পৌঁছায় প্রায় আড়াই মাস পর।
এর আগে চলতি বছরের ১৫ মার্চ ঢাকা থেকে সাজ্জাদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের মো. জামালের ছেলে সাজ্জাদ। নগরীর বায়েজিদ, অক্সিজেন ও চান্দগাঁও থানা এলাকায় ‘ছোট সাজ্জাদ’ নামে পরিচিত। তাকে ধরিয়ে দিতে পুলিশ পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার সৈয়দ শাহ শরীফ যুগান্তরকে বলেন, জামিননামাগুলো চট্টগ্রাম আদালত থেকে আমাদের কারাগারে আসে। আসামি আমাদের এখানে না থাকায় জামিননামাগুলো আমরা রাজশাহী ও ফেনী কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছি। এখন তারাই জামিননামাগুলো যাচাই-বাছাই করবেন।
