Logo
Logo
×

সারাদেশ

কনকনে শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

Icon

রাজশাহী ব্যুরো

প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:১৬ পিএম

কনকনে শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

ছবি: সংগৃহীত।

রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ কমছে। এক সপ্তাহ ধরে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। বইছে হিমেল বাতাস। এতেই নামছে কনকনে শীত। 

রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন সকালে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ।

শীতের প্রকোপ বাড়তে থাকায় এ অঞ্চলের মানুষের জীবনমানে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। বেড়েছে জনদুর্ভোগ। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিশেষ করে ছিন্নমূল মানুষ বেশি বিপাকে পড়েছেন। কনকনে শীতে জবুথবু এ জনপদ। এ মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ ছিল গত ১১ এবং ১৩ ডিসেম্বর। এই দুইদিন রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৮ শতাংশ। আগের দিন শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে এখন তাপমাত্রার পারদ ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে অবস্থান করলেও বাতাসের কারণে ঠাণ্ডা নামছে। এতে ঘরের বাইরে খেটে খাওয়া মানুষের জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে। 

মহানগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকার নির্মাণ শ্রমিক রফিকুল ইসলাম বলেন, এই কনকনে শীতের মধ্যে কাজে আসতে হচ্ছে। সকালে কাজ করতে খুবই কষ্ট হয়। বাতাস থাকার কারণে প্রচণ্ড শীত পড়ছে। তারপরও জীবিকার তাগিদে না করে উপায় নেই। কাজ না করলে বাড়ির লোকজন না খেয়ে থাকবেন।

মহানগরীর বাসাবাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন মাসুমা খাতুন।তিনি বলেন, এই ঠাণ্ডার মধ্যে সকাল-সন্ধ্যা কাজ করতে খুব কষ্ট হয়। কনকনে ঠাণ্ডার মধ্যে পানিতে হাত দেওয়া যায় না। তারপরেও বাঁচার তাগিদে বাধ্য হয়ে কাজ করতে হচ্ছে।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন বলেন, এ সময়ে শীতের প্রকোপ বাড়ে। আরও দু-তিনদিন শীত বেশি থাকবে।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম