ভালুকায় যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার আরও দুই
ময়মনসিংহ ব্যুরো
প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:৩৭ পিএম
প্রতীকী ছবি: যুগান্তর
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
ধর্ম অবমাননার অভিযোগে ময়মনসিংহের ভালুকায় গার্মেন্টস কর্মী দিপু চন্দ্র দাসকে (২৮) পিটিয়ে হত্যার পর উলঙ্গ করে লাশ গাছে ঝুলিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় আরও দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের কাশর এলাকা থেকে আশিকুর রহমান (২৫) ও কাইয়ুমকে (২৫) গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে ভালুকার জামিরদিয়া এলাকার পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড কারখানায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে দিপুকে মারধর করেন কারখানার শ্রমিকরা। পরে তাকে কারখানার বাইরে উত্তেজিত জনতার হাতে তুলে দেওয়া হয়। এ সময় উত্তেজিত জনতা দিপু দাসকে পিটিয়ে হত্যার পর উলঙ্গ করে লাশ গাছে ঝুলিয়ে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। রাত ২টার দিকে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল পৌঁছে অর্ধপোড়া লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকালে নিহতের ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৫০ জনকে আসামি করে ভালুকা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভালুকা উপজেলার বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত ১২ জনকে গ্রেফতার করে।
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, ঘটনাটি মর্মান্তিক। আইন কেউ নিজের হাতে তুলে নেওয়া ঠিক না। দিপু অপরাধ করে থাকলে কারখানা কর্তৃপক্ষের উচিত ছিলো, দিপুকে পুলিশে সোপর্দ করা।
তিনি জানান, পুলিশের একাধিক টিম সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের চেষ্টা করছে। হত্যাকান্ডে জড়িত কোম্পানির ভেতরে এবং বাইরে অনেকের নাম পেয়েছি। তদন্তের স্বার্থে সেগুলো প্রকাশ করা যাচ্ছে না। খুব শীঘ্রই হত্যার মোটিভ উদঘাটন হবে।
দিপু হত্যাকান্ডের ঘটনায় র্যাব-১৪ এর অভিযানে গ্রেফতারদের মধ্যে রয়েছেন পাইওনিয়ার নিট ফ্যাক্টরীর ফ্লোর ম্যানেজার মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের আলমগীর হোসেন (৩৮), কোয়ালিটি ইনচার্জ ঝালকাঠি জেলার পোনাবালিয়া গ্রামের মিরাজ হোসেন আকন (৪৬), কারখানার কর্মচারি গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার তারেক হোসেন (১৯) ও এরশাদ আলী (৩৯), কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি উপজেলার লিমন সরকার (১৯) এবং সুনামগঞ্জ জেলার ধোয়ারা গ্রামের নিজুম উদ্দিন (২০)। অপরদিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার করা হয়েছে ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার আজমল হাসান সগীর (২৬) ও শাহিন মিয়া (১৯) এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাজমুলকে (২১), আশিকুর রহমান (২৫) ও কাইয়ুম (২৫)।
