Logo
Logo
×

সারাদেশ

বাবার কবরের পাশে সেনা সদস্য সবুজের দাফন

Icon

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:০৭ পিএম

বাবার কবরের পাশে সেনা সদস্য সবুজের দাফন

সুদানে জাতিসংঘের (ইউএন) শান্তিরক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর মধ্যে লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়েছে।

রোববার বিকালে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে গাইবান্ধার হেলিপ্যাডে মরদেহ নামানো হয়। তারপর সেনাবাহিনীর গাড়িতে করে নিহতের বাড়ি গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার ছোট ভগবানপুরে পৌঁছলে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

নিহত সবুজের মা সাকিনা বেগম ও স্ত্রী নুপুর আকতার কেঁদে কেঁদে বলছিলেন, তার আর মা হওয়ার আশা পূর্ণ হলো না। সবুজ বলেছিল- এবার ছুটিতে এসে সন্তান নেবেন; কিন্তু সেই আশা অপূর্ণই থেকে গেল। আমাদের ভবিষ্যৎ কী হবে, আমরা কী খাব, কী নিয়ে বাঁচব জানি না।

নিহত সবুজ মিয়ার লাশ পলাশবাড়ী উপজেলার মহদিপুর ইউনিয়নের আমলাগাছি (ছোট ভগবানপুর) গ্রামে পৌঁছলে শোকার্ত মানুষ এক নজর দেখতে আসেন তাকে।

নিহত বীর সৈনিক সবুজ মিয়ার জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে পিতার কবরের পাশে দাফন করা হয়। তিনি মৃত হাবিদুল রহমান ও সাকিনা বেগমের ছেলে। ২০১০ সালে সবুজ মিয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে লন্ড্রি কর্মচারী হিসেবে যোগ দেন। তিনি এক বছর আগে নাটোর জেলায় বিয়ে করেন। গত নভেম্বর মাসে সুদানে জাতিসংঘের (ইউএন) শান্তিরক্ষা মিশনে যান তিনি।

তার মরদেহ রোববার বিকালে গাইবান্ধার হেলিপ্যাডে নামানো হলে লাশ গ্রহণ করেন ক্যাপ্টেন মুহতাসিন আলভি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জাবের আহম্মেদসহ জামায়াত, বিএনপি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।

বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সেনাবাহিনীর গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্সে তার লাশ গ্রামের বাড়ি আমলাগাছির ছোট ভগবানপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জানাজার পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও সেনাবাহিনীর গার্ড অব অনারের পর বাবার কবরের পাশে দাফন করা হয়।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম