শান্তিরক্ষা মিশনে নিহত জাহাঙ্গীরকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন
পাকুন্দিয়া (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:১৮ পিএম
|
ফলো করুন |
|
|---|---|
সুদানের আবেই অঞ্চলে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের হামলায় শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্বরত সৈনিক জাহাঙ্গীর আলমের মরদেহ সামরিক মর্যাদায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
রোববার ( ২১ ডিসেম্বর) কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিকাল সাড়ে ৪টায় হেলিকপ্টার করে আনা হয়, পরে উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের তারাকান্দি গ্রামের নিজ বাড়িতে পৌনে ৫টার দিকে জানাজার পর সামরিক মর্যাদায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
সেনা সদস্য জাহাঙ্গীর আলম (৩০) তারাকান্দি গ্রামের মো. হজরত আলীর রহমানের ছেলে। তিনি ৩ ভাইয়ের মধ্যে সে দ্বিতীয়; বড় ভাই মোস্তফা কামাল সৌদি প্রবাসী আর ছোট ভাই শাহীন আলম গাড়িচালক।
নিহত জাহাঙ্গীরের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে , ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে মেস ওয়েটার হিসেবে যোগ দেন। রংপুর ক্যান্টনমেন্টে চাকরিরত অবস্থায় চলতি বছরের ৭ নভেম্বর তিনি জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে সুদানের আবেই অঞ্চলের জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী হিসেবে যোগাযোগ করেন।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘের ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছিল সন্ত্রাসীরা। হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন শান্তিরক্ষী নিহত ও আহত হয়েছিলেন আটজন।
এরপর থেকে পরিবারে শোকের মাতম চলছে। বৃদ্ধ বাবা হজরত আলী বাকরুদ্ধ। জাহাঙ্গীরের স্ত্রী রুবাইয়া আক্তার স্বামীর ছবি ও ৩ বছরের ছেলে ইফরানকে বুকে আঁকড়ে ধরে স্তব্ধ হয়ে বসে থাকছেন। মাঝেমধ্যে চিৎকার করে কেঁদে উঠছেন। সদা বিনয়ী জাহাঙ্গীরের অকাল মৃত্যুতে আশপাশের গ্রামগুলোতেও শোক বিরাজ করছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত জাহান বলেন, বাংলাদেশ সেনাসদস্য জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বের মানচিত্রে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছে একই সঙ্গে বাংলাদেশ সেনা বাহিনীকে গর্বিত করেছেন। উপজেলা প্রশাসন তার পরিবারের পাশে থাকবে।
