Logo
Logo
×

সারাদেশ

সরকারি স্কুলে লটারিতে টিকেও ভর্তি হতে পারেনি নেত্রকোনার ১০ শিক্ষার্থী

Icon

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৩০ পিএম

সরকারি স্কুলে লটারিতে টিকেও ভর্তি হতে পারেনি নেত্রকোনার ১০ শিক্ষার্থী

ভর্তির লটারিতে টিকার পরও মর্নিং এবং ডে শিফটে আবেদন করায় নেত্রকোনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের চতুর্থ ও ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারছে না ১০ জন শিক্ষার্থী। এসব শিক্ষার্থীকে নিজ নিজ বিদ্যালয়ের চতুর্থ ও ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির সুযোগ করে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানিয়েছেন ভর্তির লটারিতে টিকে থাকা শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা।

রোববার পর্যন্ত ভর্তি না নেওয়ায় শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চিতায় পড়েছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। অপরদিকে লটারিতে সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীদের ভর্তি না নিয়ে রোববার রাতে বিদ্যালয়টিতে অপেক্ষমাণ শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ দিয়ে তালিকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে ওই ১০ শিক্ষার্থীর ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

জেলা শহরের নাগড়া এলাকার চতুর্থ শ্রেণিতে লটারিতে নির্বাচিত হওয়া শিক্ষার্থী তাইব্যা রহমান নিধির বাবা আতিকুর রহমানসহ কয়েকজন অভিভাবক বলেন, নেত্রকোনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তির আবেদনে মর্নিং এবং ডে শিফটের জন্য আবেদন করি। শিক্ষা অধিদপ্তরের ভর্তি বিজ্ঞপ্তির পরিপত্র অনুযায়ী ভর্তির আবেদন করে নির্বাচিত হলেও বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষিকা স্বপ্না রাণী সরকার দুই শিফটে আবেদন করার অজুহাতে ভর্তি হতে দেননি। অথচ দুই শিফটে ভর্তি আবেদনের কোনো নিষেধ ছিল না।

তারা বলেন, টঙ্গী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে একাধিক শিফটে আবেদনকারীকে ভর্তি নিলেও ওই প্রধান শিক্ষিকা ভর্তি নেননি। এমন অজুহাতে অন্তত দশজন শিক্ষার্থীকে ভর্তি না করে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে তিনি পছন্দের শিক্ষার্থীদের ভর্তি করাতে চাচ্ছেন। এতে আমাদের সন্তানের অপূরণীয় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

তারা আরও বলেন, এছাড়া অনলাইনেও ডাবল শিফটে আবেদন না করার বিষয়ে কোনো বিধিনিষেধ দেওয়া হয়নি। যদি থাকত তাহলে আমরা অন্যান্য স্কুল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ হুমকির মধ্যে ফেলতাম না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নেত্রকোনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা স্বপ্না রাণী সরকারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করেও রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।

তবে জেলা প্রশাসক মো. সাইফুর রহমান বলেন, আমি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকাকে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে বলেছি। লটারিতে টেকার পরও কেন ভর্তি নিচ্ছেন না বিষয়টি খোঁজ নিয়ে জানব। এক্ষেত্রে বিধির বাইরে কিছু করার সুযোগ নেই।

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম